ড. দত্তরায়র মূল গবেষণার লক্ষ্য হল দৈনন্দিন খাদ্যের বায়ো-অ্যাকটিভ উপাদান থেকে নির্যাস বের করে মাইটোকনড্রিয়ার শক্তি বৃদ্ধির একটি মডিউল তৈরি করা। কারণ, মাইটোকনড্রিয়াই মানবদেহের শক্তি উৎপাদনের কেন্দ্র। তরুণ বয়সে এটি সবল থাকলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর কার্যক্ষমতা কমে যায়, কোষে স্ট্রেস বাড়ে এবং ধীরে ধীরে বার্ধক্যের ছাপ ফুটে ওঠে। তাই এই উপাদানের উপর নিয়ন্ত্রণ আনতে পারলেই বার্ধক্যকে রোখা সম্ভব বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
advertisement
আরও পড়ুন: পুজো এলেই চাহিদা বাড়ে ব্যাপক, কিন্তু এবছর…! জানুন আচমকা কেন মুখোশে মন নেই মানুষের
গবেষণায় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে বাংলার পরিচিত খাদ্যসামগ্রী সজনে পাতা। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা মাইটোকনড্রিয়ার কার্যক্ষমতায় দুর্দান্ত প্রভাব ফেলে। যদিও শাকসবজি বা ফলমূল সরাসরি খেলে প্রভাব ততটা কার্যকর হয় না, কিন্তু সেখান থেকে নির্যাস বের করে ব্যবহার করলে তা দেহে শক্তির জোগান বাড়াতে পারে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্তমানে নরওয়ের ল্যাবরেটরিতেই চলছে এই নিয়ে নিরীক্ষা। শুধু গবেষণাতেই নয়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ড. দত্তরায়র ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। প্রতিবছর তিনি নোবেল কমিটিকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে শ্রেষ্ঠ আবিষ্কারের খোঁজ দেন। পাশাপাশি তিনি বিশ্বখ্যাত ফুড অ্যান্ড রিসার্চ জার্নালের মুখ্য সম্পাদক। ইতিমধ্যেই তার ঝুলিতে রয়েছে তিনশোরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ। বাংলার সজনে পাতা হয়তো একদিন মানবদেহের বার্ধক্য রোধে বৈপ্লবিক ভূমিকা নেবে—এই আশাই জাগাচ্ছে ড. অসীমকান্তি দত্তরায়র গবেষণা।