গ্রামের মহিলারা বহু বছর ধরে জড়িয়ে রয়েছেন কাঁথাস্টিচ শিল্পের সঙ্গে। কেউ মা-কাকিমার হাত ধরে শিখেছেন কাপড়ের উপর সুতোর নকশার এই কাজ। আবার কেউ বিয়ের পর গ্রামে এসে প্রতিবেশীদের দেখেই শিখেছেন কাঁথাস্টিচের কাজ। ছুঁচ-সুতো নিয়ে বসে শাড়িতে নকশা ফুটিয়ে তোলেন তাঁরা। ব্যাঙ্গালোর সিল্ক বা তসরের একটি শাড়ির উপর বিভিন্ন সূক্ষ্ম কারুকার্য তাঁরা ফুটিয়ে তোলেন । তবে এখন এই মহিলারা গাছি তসর শাড়ির কাজে বেশি জোর দিয়েছেন। শিল্পী পারুল খাতুন জানিয়েছেন, “এই শাড়ির বিক্রি বেড়েছে। পুজোর আগে এর ভাল চাহিদা রয়েছে।”
advertisement
সর্বপ্রথম শিল্পীদের শাড়ির থান কিনতে হয়। পরবর্তীতে সেই থানের মধ্যে যে নকশা হবে সেই নকশা ডিজাইনারের কাছ থেকে করিয়ে নিয়ে আসতে হয়। শাড়ির মধ্যে নকশা ছাপার কাজ সম্পূর্ণ হলে তারপর মহিলা শিল্পীরা তাদের কাজ শুরু করেন। সুঁচ – সুতো নিয়ে সেই নকশা তৈরির কাজ শুরু করেন শিল্পীরা। এক একটা শাড়ির নকশা শেষ করতে প্রায় ছ’মাস সময় লাগে বলেই জানা গিয়েছে। শিল্পীরা শাড়ির মধ্যে নকশা বোনার কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করতে পারলে তবেই বেশ কিছু টাকা উপার্জন করতে পারেন। শাড়ির মধ্যে নকশা বোনার কাজ শেষ হলে তারপর সেই শাড়ি অথবা পোশাক নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রির জন্য।
আরও পড়ুন : মাটিতে মেশান এক চিমটে এই জিনিস! বারান্দার টবেই ঝাঁকড়া হয়ে উঠবে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী গাছ
বর্তমানে এই গ্রামগুলিতে তিন হাজার টাকা থেকে শুরু করে পনেরো হাজার টাকা দামের শাড়িও তৈরি হয়। যার মধ্যে সবথেকে দাম বেশি ‘গাছি তসর’ শাড়ির। এই শাড়ির দাম শুরু হয় বারো হাজার টাকা থেকে। এবং সর্বোচ্চ পনেরো হাজার টাকা দামেরও এই শাড়ি রয়েছে। পুজোর আগে চাহিদা বেড়েছে এই শাড়ির। বিক্রিও হচ্ছে দেদার।