আসলে আমি-আপনি সাধারণ মানুষের মধ্যে বোঝা কঠিন। আসলে কোন জল খাবার উপযোগী? আদৌ আমরা সেই জল খাচ্ছি কিনা। তবে এ বিষয়ে যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা থাকলে আর ভুল করবেন না।
advertisement
জলের আরেক নাম জীবন। আবার ক্ষেত্রবিশেষে জল, মৃত্যুর কারণও হতে পারে। জীবাণু, ব্যাকটিরিয়া, প্রোটোজোয়া প্রভৃতি বিভিন্ন অণুজীব জল দ্বারা বাহিত হয়ে প্রায়ই মহামারি ঘটায়। পরিশ্রুত পানীয় জল না পাওয়ার জন্য নানা ধরনের জলবাহিত রোগ শরীরে বাসা বাঁধে। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানির ১০-২০ টাকাতে জলের বোতল বাড়ির কাছ থেকে খুব সহজেই মিলছে। এমন বহু জল বিক্রেতা রয়েছে যারা জলের গুণগত মান বজায় না রেখেই এই ব্যবসা চালাচ্ছে।
সেক্ষেত্রে এই জল খেয়ে বাড়তে পারে বিপদ, হতে পারে মারণ রোগও। পরিশ্রুত পানীয় জল না পাওয়ার জন্য ঘটে নানা ধরনের জলবাহিত রোগ। জল সত্যিই পরিশ্রুত কিনা তা জানবার জন্য যে নিয়মিত ও নিরন্তর তদারকি প্রয়োজন তা সচরাচর করা হয় না। বর্তমানে যে সমস্ত জলের কোম্পানিগুলো ১০-২০ টাকায় ২০-২৫ লিটার জল মানুষকে দিচ্ছে, সেগুলো কতটা স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে সব দিক বিবেচনা করে, সরকারের দ্বারা অনুমোদনপ্রাপ্ত হয়ে বিক্রি হচ্ছে সে বিষয়ে মানুষের মধ্যেও রয়েছে সচেতনতার অভাব।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দ্বারা সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে জলবাহিত রোগে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের আধিক্য বেশি। জলবাহিত রোগের মধ্যে অন্যতম হল কলেরা, আমাশা, টাইফয়েড প্রভৃতি। আবার ক্ষেত্রবিশেষে জল, মৃত্যুর পরোয়ানা বয়ে নিয়ে আসে। সেক্ষেত্রে গজিয়ে ওঠা এই সমস্ত জলের কোম্পানি গুলোর সরবরাহ করা পানীয় জল কতটা স্বাস্থ্যসম্মত সে বিষয়ে নানা প্যারামিটার-এর কথা বলেছেন ইন্ডিয়ান এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউড নিউ দিল্লি এর বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাঃ দেবাশীষ গোলুই।