প্রায় চার থেকে পাঁচ কেজি মাছ শুকিয়ে তবে প্রস্তত হয় ১ কেজি শুঁটকি মাছ। তবে এ বছর মাছ কম পরিমাণে এসেছে জালে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। কর্মীরা কাজের জন্য এলেও বসে থাকতে হচ্ছে পর্যাপ্ত মাছের অভাবে।
এই কথা জানিয়েছেন পঞ্চমী মণ্ডল নামের এক কর্মী। নদীতে মাছের কোনও অসুবিধা হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি। অপরদিকে অমিয় মণ্ডল নামের এক শুঁটকি প্রস্ততকারী জানিয়েছেন, গত বছর বাংলাদেশ, নেপাল-সহ বিভিন্ন দেশে মাছ পাঠানোর জন্য একটু অসুবিধে হয়েছিল। কিন্তু এ বছর সেই অসুবিধে নেই। তবে এ বছর প্রথম থেকেই মাছ কম আসছে। ফলে শুঁটকি প্রস্তুত করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছে। তবে পরবর্তীতে এই সমস্যা কেটে যাবে বলে মনে করছেন তিনি।
advertisement
শুঁটকি মাছের মধ্যে বাজারে পর্যাপ্ত নিহারি ও পাতা মাছের শুঁটকির চাহিদা বেশি। কিন্তু ট্রলারগুলি নদী ও সমুদ্র থেকে এ বছর বেশি পরিমাণে নিহারি ও পাতা মাছ ধরে নিয়ে আসতে পারেনি। শুঁটকি মাছ যেখানে তৈরি হয় সেই জায়গাগুলিতে মূলত সাত রকমের মাছ শুকনো করা হয়। এই খুঁটিগুলিতে বিভিন্ন পদ্ধতিতে পাতা, নিহারি, ছুরি, আমোদি, ভোলা, চিংড়ি ও চেলা মাছ শুকনো করা হয়। তবে সব থেকে বেশি চাহিদা নিহারি ও পাতা মাছের শুঁটকির। তবে এ বছর প্রথম থেকেই মাছ কম আসায় সমস্যায় পড়েছেন শুঁটকি প্রস্তুতকারকরা।