প্রথমে তিনি বিশ্বাসই করতে পারেননি এই বিষয়টি। এর পর তাঁর টিকিটের সঙ্গে লটারির ১ কোটি নম্বরের টাকার নম্বর বার বার মিলিয়েছেন। টিকিট মিলিয়ে হতভম্ব হয়ে যান তিনি।তবে অনেক সময় দেখা যায়, লটারি পেয়েও সেই অর্থ সামলে রাখতে পারেন না অনেকেই। তবে আদিত্য মণ্ডল কি বাকিদের মতো!এক কোটির লটারি বাবদ টাকা দিয়ে ঠিক কী করলেন?কতটা বদলাল তাঁর জীবন? নাকি লটারি পাওয়ার পরে ছন্দপতন ঘটে তার জীবনে!
advertisement
এই প্রসঙ্গে আদিত্য আমাদের জানান, ‘‘লটারি পাওয়ার পর অবশ্যই জীবনে অনেকটাই বদল এসেছে।এখনও সেই ঠেলাগাড়ি চালাই।’’ আর্থিক স্বাচ্ছন্দের মুখ দেখেছেন আদিত্য। তিনি আরও বলেন যে লটারি এখনও কাটেন তবে অনেকটা মেপে।কোটিপতি হওয়ার পরে যে লটারি কাটার পরিমাণ বেড়েছে সেটা নয়।তবে তিনি নেশাগ্রস্ত নন কোনওভাবেই।
বীরভূমের সাঁইথিয়ার বাসিন্দা আদিত্য মণ্ডলকে এলাকাবাসী গোলাপ বলেই চেনেন। দীর্ঘ দিন ধরে একটি হোটেলে কাজ করতেন তিনি। কখনও কখনও অবসর সময়ে ঠেলাগাড়ি করে খাবার বিক্রি করেছেন।এর পাশাপাশি লটারি টিকিট কাটার অভ্যাস ছিল তাঁর। টিকিট কেটে কখনও পেয়েছেন ৬০০ টাকা, কখনও বা ১০,০০০ আবার কখনও ৪৫ হাজার টাকা।
আরও পড়ুন : জয়েন্ট পেইন বা গাঁটের ব্যথায় জেরবার শীতে? জানুন কীভাবে আরাম পাবেন
তবে কোটি টাকা পাওয়া তাঁর কাছে স্বপ্ন ছিল। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে সেই টাকা নিমেষে উড়িয়ে দিতে নারাজ তিনি। তিনি জানান সকলেরই উচিত কোটি টাকা পাওয়ার পর আবেগে না ভাসতে। সেই টাকা গঠনমূলক কাজে লাগানো প্রয়োজন।