কিন্তু সমস্যা হল প্লাস্টিক রেজার রিসাইকেল করা যায় না। কারণ রেজারের মতো ধারালো জিনিস অনেক মিশ্র উপাদান দিয়ে তৈরি। ফলে তা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা অসম্ভব কাজ। প্রতি দিন এমন কত শত প্লাস্টিক পরিবেশের সঙ্গে মিশছে কল্পনা করলে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে বাধ্য।
আরও পড়ুন: ঘরোয়া পদ্ধতিতে এ ভাবে যত্ন করুন রুক্ষ-শুষ্ক চুলের, সুন্দর-উজ্জ্বলতা আসবে দিন কয়েকেই
advertisement
সেদিক থেকে সেফটি রেজার তুলনাহীন। স্টিলের শক্তপোক্ত বডি। যা ভাঙা বা নষ্ট করা প্রায় দুঃসাধ্য কাজ। ফলে একবার কিনলেই বহু দিন চলে। দু'দিকেই ব্যবহার করা যায়। বদলাতে হয় শুধু ব্লেড। সবচেয়ে বড় কথা এটা পরিবেশবান্ধব। একবার সেফটি রেজারে কাটার মজা পেলে প্লাস্টিক বা ডিজপোজেবল রেজারে আর মন উঠবে না।
সেফটি রেজার ব্যবহারের সুবিধা:
দুর্দান্ত শেভ:
দু'বার চিন্তা করার দরকার পড়ে না। ইচ্ছে করলেই ব্লেড বদলানো যায়। অসহায়ের মতো ভোঁতা ব্লেড দিয়ে দাড়ি কাটার কষ্ট থেকে এক মুহূর্তে মুক্তি মেলে।
পকেট ফ্রেন্ডলি, সস্তাও:
একবার টাকা খরচ করে কিনলেই হল। তার পর শুধু ব্লেডের দামটুকু পড়বে। প্লাস্টিক রেজারের মতো বার বার কেনার ঝামেলা নেই। যেখানে খুশি নিয়েও যাওয়া যায়। যত্ন নিয়ে ব্যবহার করলে আজীবন চলবে।
আরও পড়ুন: শীতকালে সব পদেই দেদার খাচ্ছেন ধনেপাতা? এর ফলে কি হচ্ছে জানেন?
পরিবেশবান্ধব:
সেফটি রেজারে কণামাত্র প্লাস্টিক ব্যবহার হয় না। ব্যবহারের পর ফেলেও দিতে হয় না। ফলে পুরোপুরি প্রকৃতিবান্ধব। পরিবেশ নিয়ে চিন্তা থাকলে সেফটি রেজার বেস্ট।
কাটার সম্ভাবনা কম:
সাধারণত ভোঁতা ব্লেডের জন্য কেটে যায়। ধার থাকলে গালের উপর মাখনের মতো চলে ব্লেড। প্লাস্টিক রেজারে কাটা কাটা একাধিক ব্লেড থাকে। ফলে কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এমনকী চামড়ার খাঁজেও আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেফটি রেজারে একটাই ব্লেড। প্রয়োজনে সেটাও বদলে ফেলা যায়। ফলে কাটাকাটির সামান্য সম্ভাবনাও থাকে না।
নতুন ব্লেড সহজেই পাওয়া যায়:
সেফটি রেজারে সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সাইজের ব্লেড ব্যবহার করা হয়। যা খুব সহজেই বাজারে পাওয়া যায়। ফলে এটা পেতে কাঠখড় পোড়াতে হয় না। যে কোনও স্টেশনারি দোকানেই মেলে। তাই সেফটি রেজার ব্যবহার করা সহজ, পকেটেরও সাশ্রয়। সঙ্গে পরিবেশবান্ধবও।