কানের দুল:
ভারী কানের দুল বা ঝুমকোর ব্যবহার তো অতি প্রাচীন। উৎসব বা বিয়ের মতো বড় ধরনের অনুষ্ঠানে সালোয়ার কামিজ, শাড়ি বা যে কোনও ধরনের ভারতীয় পোশাকের সঙ্গে ভারী ঝুমকো পড়লে তা তাৎক্ষণিক ভাবে আমাদের চেহারায় জৌলুস অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়। কানের দুল বাছার সময় সামান্য অফ-ট্র্যাক যেতেও ভয় নেই, বরং এতে পোশাকে আরও নতুনত্ব আসবে। মিনাকারি ঝুমকো অথবা অক্সিডাইজ ঝুমকোকে এ ক্ষেত্রে আমাদের পছন্দের তালিকায় রাখা যেতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন : সামনেই দীপাবলী, আলোর উৎসব উদযাপনে পাতে থাক জিরা মাটন!
নেকপিস:
উৎসবের মরশুমে অক্সিডাইজড চোকার অথবা অন্য যে কোনও রকমের মেটালিক চোকারের ব্যবহার সাজগোজে বেশ একটা ট্রাডিশনাল লুক এনে দেয়। স্ট্রেট-কাট প্লেইন কুর্তা বা স্যুট পরার পরিকল্পনা থাকলে তার সঙ্গে ম্যাচিং ভারী চোকার পরে নেওয়া যেতে পারে। এতে সাজে একটা আলাদাই মাত্রা যোগ হবে।
বড় টিকলি অথবা মাঙ্গ-টিকা:
নিতান্তই সাদামাটা পোশাকেও মাথায় টিকলি পরে নিলে ব্যবহার বেশ জমকালো লাগবে। বিশেষ করে নকশা করা মুক্তার টিকা এই স্টাইলের সঙ্গে পছন্দ না-হয়ে যায় না। যাঁরা মুক্তোর গয়না পছন্দ করেন না, তাঁরা গোল্ড, মেটালিক অথবা সম্পূর্ণ গোল্ড ফিনিশের টিকাও পরতে পারেন।
আরও পড়ুন-ঋতু পরিবর্তন মানেই ঠান্ডা লাগা এবং সর্দিকাশি? রেহাই পেতে রইল কিছু ঘরোয়া টোটকা
আংটি:
ট্র্যাডিশনাল পোশাক নিয়ে কথা বলতে গেলে ফিঙ্গার রিং বা আংটি ছাড়া স্টাইল গাইড সম্পূর্ণ হতেই পারে না। এ ক্ষেত্রে আমরা সাহসী হতে চাইলে টু-টোনড (two-toned) রিং অথবা যে কোনও সাধারণ ডিজাইনার রিং পরতে পারি। ভারতীয় পোশাকের সঙ্গে এমারেল্ড-সহ যে কোনও পাথর বসানো আঙটি অথবা অক্সিডাইজড আঙটি নতুন লুক এনে দেবে।
ব্রোচ:
এটা ঠিক যে, অনেকেই ব্রোচ ব্যবহার করতে ভালবাসেন না। তবে সাজগোজে কিছু পরিবর্তন আনতে ব্রোচ ব্যবহার করা যেতেই পারে। এ ক্ষেত্রে স্টেটমেন্ট ব্রোচ আদর্শ। এ ছাড়াও এনামেল ব্রোচ, ডাবল ব্রোচ এবং মেসেজ ব্রোচের ব্যবহার আমাদের সম্পূর্ণ লুকে পরিবর্তন আনতে বাধ্য।