পুজো শেষ মানেই বাতাসে শীতের হাল্কা আমেজ (season change)৷ হেমন্তে কখনও মনে হয় ফ্যানের হাওয়া ভাল লাগছে৷ আবার কখনও বা সারা গায়ে হাল্কা শিরশিরানি৷ এই সময়েই ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বেশি৷ মরসুমি সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হওয়ার হারও বেশি৷ আসুন, দেখে নিই ঘরোয়া উপায়ে কীভাবে এর প্রতিকার করা যায় (home remedies to combat seasonal flu)৷ বেসনের সঙ্গে ঘি, দুধ, হলুদ, গোলমরিচ মিশিয়ে তৈরি করুন ‘বেসন কা শিরা’৷ গরম গরম এই মিশ্রণ পা করলে গলা এবং বন্ধ নাকের পক্ষে আরামদায়ক ৷ ইচ্ছে হলে সঙ্গে মিশিয়ে নেওয়া যায় আদা এবং হলুদও৷ অসুখ সারানোর পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়ায় এই পানীয়৷
বাড়িতেই তৈরি করুন ‘কফ ড্রপ’৷ আদা, মধু এবং লেবু হল এর প্রধান উপকরণ ৷ এদের উপকরিতাও প্রচুর ৷ মধুতে আছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ৷ পান করতে পারেন হলদি দুধ অথবা হলুদ মেশানো দুধ ৷ হলুদ একইসঙ্গে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিভাইরাল ৷ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে মরসুম পরিবর্তনের সময় এই মিশ্রণ দিনে দু’বার খেতে বলা হয়৷ বাড়িতে বিভিন্ন উপায়ে তৈরি করা যায় ‘কড়হা’৷ কোভিড আক্রমণের সময় আমরা অনেকেই কমবেশি এই পানীয় পান করেছি৷ এই টোটকার অন্যতম উপাদান তুলসি ও হলুদ৷ দু’টি উপাদানেরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রচুর৷ ঘন ঘন ঠান্ডা লাগার হাত থেকে রেহাই পেতে পান করুন এই পানীয়৷ গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ আছে৷ যে কোনও সংক্রমণ এবং শ্বাসপ্রশ্বাসজনিত সমস্যা দূর করে ভিটামিন এ৷ মরসুম পরিবর্তনের সময় ডায়েটে রাখুন গাজরের রস৷ ঠান্ডা লাগার সমস্যা এবং ফ্লুয়ের সংক্রমণ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলে ভিটামিন এ ৷
Published by:Arpita Roy Chowdhury
First published:
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।