বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল থেকে প্রচুর চা দার্জিলিয়ে ঢুকছে যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মান হারাচ্ছে দার্জিলিং চা। তবে কিভাবে চিনবেন দার্জিলিং চা? তার জন্য আপনাকে জানতে হবে এই দার্জিলিং চায়ের ইতিহাস। বছরে চারবার এই দার্জিলিং চা তোলা হয় যা ফাস্ট ফ্লাস, সেকেন্ড ফ্লাস, থার্ড ফ্লাস এবং ফোর্থ ফ্লাস নামে পরিচিত এবং প্রত্যেকটি ফ্ল্যাসের স্বাদও ভিন্ন হয়।
advertisement
মাকাইবাড়ি চা বাগানের চা বিশেষজ্ঞ লাল্টু পুরকাইত বলেন, দার্জিলিং চা হল বিশ্বের সেরা চা, এই চায়ের জন্য দুধ বা চিনির প্রয়োজন নেই, হালকা গরম জলই যথেষ্ট। যার মধ্যে ফার্স্ট ফ্লাশের চায়ের স্বাদ হয় ফুলের মতো মিষ্টি পিচ ফলের ন্যায়, সেকেন্ড ফ্লাশের চায়ের স্বাদ অনেকটা মাসক্যাটেল ওয়াইনের স্বাদের মতো। থার্ড ফ্লাসে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টির ফলে অনেকটা ফ্লোরা এবং ফুনার মতো হয়ে থাকে এবং সব থেকে শেষে চতুর্থ ফ্লাশ সবথেকে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে এবং এটি মিষ্টি স্বাদের হয়ে, কারণ তারপরেই তিন মাস বন্ধ থাকে চা বাগান অর্থাৎ তিন মাসের জন্য শীতঘুমে চলে যায় দার্জিলিংয়ের সমস্ত চা বাগান। বাকি চা পাতায় কীটনাশক ব্যবহার করা হলেও দার্জিলিং চা একদম অর্গানিক।
আপনিও যদি আসল দার্জিলিং চা খেতে চান তাহলে অবশ্যই জেনে রাখুন এই পদ্ধতি। দোকানে গিয়ে চায়ের ফ্লাশ হিসাবে চা পাতা কিনুন! এই পদ্ধতি জানলে দার্জিলিং চা কিনতে গেলে কখনওই ঠকবেন না।
সুজয় ঘোষ