কীভাবে ডায়েট রাখলে শরীর সুস্থ থাকবে। তা জানতেই রীতিমতো হিড়িক হাওড়ার বাগনানের একটি স্বাস্থ্য শিবিরে। বাঙালপুর কালীমাতা ব্যায়াম সমিতির পক্ষ থেকে গ্রামের মানুষের কথা ভেবে স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন। সেখানেই বিভিন্ন রোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবাবুদের উপস্থিতিতে। বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজারের বেশি মানুষ এই শিবিরে অংশগ্রহণ করেন।
advertisement
স্পেশালিস্ট ডাক্তারবাবুদের দেখানোর পাশাপাশি প্রতিদিনের কোন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করে সুস্থ থাকা যায় সে বিষয়ে বিশেষ আগ্রহ মানুষের।এ বিষয়ে শরীর সুস্থ রাখার পরামর্শ স্পেশালিস্ট অরিজিৎ দে। ডাক্তারবাবু জানান প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে জল খেতে হবে। এর ফলে শরীর থেকে টক্সিক জাতীয় বর্জ্য পদার্থের মধ্য দিয়ে বের হবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে চা এর সঙ্গে বিস্কুট খাবার প্রবণতা সর্বাধিক। তবে এই বিস্কুটের সেভাবে কোনও গুণ নেই। চায়ের সঙ্গে আমন্ড বাদাম খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ এবং হাঁটু ব্যথার ক্ষেত্রে উপকার। পাশাপাশি বাড়বে ইমিউনিটি পাওয়ার। ব্রেকফাস্টে ওটস বা ডালিয়া শরীরের পক্ষে দারুণ উপকার। এরপর সকাল ১১ টা থেকে ১২ টা নাগাদ ফল খাওয়া যেতে পারে। দুপুরে ভাত ডাল সবজি মাছ খাওয়া যেতে পারে, তবে এখানে ভাতের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে খেতে হবে।
বিকেলের চা খেলে বিস্কুটের বদলে ভাজা ছোলা। বিকেলে চিঁড়ে বা মুড়ি, যাদের সুগার বা ওজন বেশি তাদের জন্য রায়তা খাওয়া যেতে পারে। (রায়তাকে ফ্যাট বার্নিং ফুড বলা হয়। এতে শরীরের ওজন কম হাঁটুর ব্যথা কম হয়)। রাত্রে দুটো – একটা রুটি সবজি। সুগার না থাকলে অল্প ভাত খাওয়া যেতে পারে। খেয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জিরে ভেজানো জল।
এভাবে রুটিন করে চলতে পারলে শরীর সুস্থ থাকবে। ওজন নিয়ন্ত্রণ থাকতে পারে এবং হাঁটু ব্যথা কমবে। খাবার হজম হতে ৪৫ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা সময় লাগে। সেক্ষেত্রে খাওয়ার পর প্রায় দেড় ঘন্টা পরে ঘুমোতে যাওয়া উচিত। সুস্থ শরীরের জন্য ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুম আবশ্যিক।