কোভিড এবং ফ্লু দুটি শ্বসনতন্ত্রের অসুখ
কোভিড ১৯ এবং ফ্লু দুটিই সংক্রামক শ্বাসযন্ত্রের অসুখ। তবে দুটির ঝুঁকির মাত্রাও আলাদা। কোভিড ১৯ করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে হয় এবং এটি ২০১৯ সালে প্রথম সনাক্ত করা হয়েছিল। অন্য দিকে, ফ্লু ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে হয়।
কীভাবে আলাদা করা যাবে?
কোভিড ১৯ এবং ফ্লু অনেকটা একইরকম হলেও সংক্রমণে কোভিড ফ্লু-এর চেয়ে অনেক তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। যদিও কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত হলে কিছু মানুষের শরীরে গুরুতর লক্ষণ দেখা যায় এবং সুস্থ হতেও বেশ সময় লাগে। তবে শুধু উপসর্গই কোভিড এবং ফ্লু-এর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। সেক্ষেত্রে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট যেমন ওমিক্রনে বেশিরভাগ সময়ে গলা ব্যথা, নাক দিয়ে জল পড়া এবং ক্লান্তিভাব ইত্যাদির মতো মৃদু উপসর্গ দেখা যায়৷ যার ফলে দুটি অসুখকে আলাদা করা আরও বেশি কঠিন হয়ে পড়ে। তাই রোগ চিহ্নিত করতে কোভিড পরীক্ষা করে নেওয়াই সবচেয়ে ভাল উপায়।
advertisement
আরও পড়ুন : কলকাতায় দুর্গাপুজো দেখতে হলে এই কাজগুলো করতেই হবে, না হলে সব মজাই মাটি
মৃদু সংক্রমণ হওয়ায় কোভিড কি এখন ফ্লু-এর মতো কিংবা কম ঝুঁকিপূর্ণ?
আজকাল কোভিডের মৃদু উপসর্গ দেখা যায় এবং বেশিরভাগ মানুষেরই টিকা নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তাই কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করেন যে কোভিডের ঝুঁকি অনেকটাই কমে গিয়েছে এবং ফ্লু-এর সঙ্গে এটির তুলনা করা হচ্ছে৷ এমনকী কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, কোভিড ধীরে ধীরে মরশুমি ফ্লু-এর মতো হয়ে যাচ্ছে।
তাহলে কি আমরা আশঙ্কামুক্ত?
যদিও একদল বিশেষজ্ঞ ফ্লু-এর চেয়ে কোভিডকে কম বিপদজনক শ্বসনতন্ত্রের অসুখ বলতে নারাজ। তাঁদের মতে, কোভিড ১৯-এর এখনও দৈনিক কয়েকশো মানুষের মেরে ফেলার ক্ষমতা রয়েছে। এমনকী আগামী ১২ মাসে আরও ১২৫০০০ কোভিডে মৃত্যু হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : ফাটা গোড়ালিতে মাটি পুজোর সাজ, আজ থেকেই এভাবে করুন পায়ের পরিচর্যা, ফল মিলবে দ্রুত
কাদের সতর্ক থাকা উচিত?
৬০ বছর বা তার বেশি বয়সী, ইমিউনো কমপ্রোমাইজড এবং আগে থেকে ক্রনিক রোগে ভুগলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করার বিষয়ে বেশি সতর্ক হওয়া উচিত। এক্ষেত্রে কোভিডে আক্রান্ত হলে এখনও গুরুতর সংক্রমণ সম্ভব এবং বিশেষ করে এই ধরনের রোগীদের ঝুঁকি বেশি রয়েছে।
কোভিডের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে ফ্লুও আটকানো যাবে?
টিকা নেওয়া, মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং সঠিক ভাবে হাত পরিষ্কার রাখলে শুধু কোভিড ১৯ নয়, ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের বিরুদ্ধেও সবচেয়ে ভাল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কেন না, সব সময়েই সতর্কতা নিরাময়ের চেয়ে ভাল উপায়।