আরও পড়ুন- প্রথম দিনেই দেশ জুড়ে কর্বেভ্যাক্সের ২.৬০ লক্ষ প্রথম ডোজ প্রদান ১২-১৪ বছর বয়সীদের
অভিভাবকদের বোঝা উচিত, সমস্ত ভ্যাকসিনই জনসাধারণের জন্য অনুমোদিত হওয়ার আগে কঠোর নিরাপত্তা পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং ক্লিনিকাল ট্রায়ালের মধ্য দিয়ে যায়। যখন ভ্যাকসিন গুণমান এবং নিরাপত্তার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ হয়, কেবলমাত্র তখনই সেগুলি সাধারণ মানুষের উপর প্রয়োগের জন্য ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিশুরা একমাত্র জ্বরে কাবু থাকলে তবেই ভ্যাকসিন নেওয়া পিছিয়ে দিতে পারেন অভিভাবকরা, নচেৎ সন্তানদের টিকা দেওয়ার সবুজ সংকেত সবসময়ই লাগু রয়েছে। ফোর্টিস হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটের প্রধান, ডাঃ যোগেশ কুমার গুপ্ত হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, জনগণের ব্যাপক টিকাকরণই COVID সংক্রমণের চক্র ভাঙার একমাত্র উপায়। “একবার আমরা ভ্যাকসিন অনাক্রম্যতা বা হার্ড ইমিউনিটি পেয়ে গেলেই গুরুতর কোভিড সংক্রমণ প্রতিরোধ করবে এই ভ্যাকসিন,” বলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন-১২-১৪ বছর বয়সীদের কোভিড টিকাদান শুরু, কীভাবে নাম রেজিস্ট্রেশন করাবেন জেনে নিন!
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যদিও তেমন কোনও নির্দিষ্ট সতর্কতা (side effects of COVID-19 vaccine on kids) অবলম্বন করার বিষয় নেই এক্ষেত্রে, তবে অভিভাবকদের পরামর্শ যে ভাইরাল সংক্রমণ বা জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের টিকা দেওয়ার আগে এক থেকে দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করুন। যোগেশ কুমার গুপ্ত আরও বলেন, “যদি কোনও শিশু নিয়মিত রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেয়ে থাকে তবে আগে থেকেই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করতে হবে।”
বাচ্চাদের উপর COVID-19 ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (side effects of COVID-19 vaccine on kids) সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শিশুরা ইনজেকশন নেওয়ার জায়গায় ব্যথা, অল্প জ্বর, ফ্লুর মতো লক্ষণ অনুভব করতে পারে। কিছু অস্বাভাবিক উপসর্গ হল মাথা ঘোরা বা অ্যানাফিল্যাক্সিস (অ্যালার্জিক) প্রতিক্রিয়া। সেক্ষেত্রে অবিলম্বে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে।