ঠান্ডা জল রক্তনালীগুলিকে সংকুচিত করে ফেলে এবং খাদ্যে থাকা চর্বিকে শক্ত করে তোলে, যার ফলে হজম ধীর হয়ে যায়। এর ফলস্বরূপ পেটে অস্বস্তি, গ্যাস বা ফাঁপার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। ডেলির জেনারেল ফিজিশিয়ান ডঃ রাহুল মালহোত্রা জানিয়েছেন, “গরমে হঠাৎ বরফ ঠান্ডা জল খেলে শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা হঠাৎ পরিবর্তিত হয়, যা হজমে বিরূপ প্রভাব ফেলে।”
advertisement
আরও পড়ুন: হাসলেই সামনে চলে আসে হলুদ দাঁত, লজ্জায় মুখ দেখাতে পারেন না! বিনা খরচায় ঘরোয়া টিপসেই পান মুক্তি…
এছাড়া গরম থেকে হঠাৎ ঠান্ডা জলে গলা ভিজলে গলার শ্লেষ্মা ঝিল্লি সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এর ফলে গলা খুসখুস, কাশি কিংবা ঠান্ডা লাগতে পারে। অনেকেই এই কারণেই বারবার গলার সমস্যায় ভোগেন।
ঠান্ডা জল পান করার সময় আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হৃদস্পন্দনের উপর প্রভাব। বরফ জল ভেগাস নার্ভকে উদ্দীপিত করে, যার ফলে হৃদস্পন্দন সাময়িকভাবে কমে যেতে পারে। এতে মাথা ঘোরা বা বুক ধড়ফড়ের মতো অনুভূতি হতে পারে।
আরও একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি হলো “ব্রেইন ফ্রিজ” বা ঠান্ডা মাথাব্যথা। দ্রুত ঠান্ডা জল পান করলে মুখের স্নায়ু আচমকা ঠান্ডার কারণে সংকুচিত হয়ে পড়ে এবং এই কারণেই তীব্র মাথাব্যথা অনুভূত হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হাইড্রেশন। অনেকেই মনে করেন ঠান্ডা জল শরীরকে দ্রুত ঠান্ডা করে, কিন্তু চিকিৎসকদের মতে বরফ ঠান্ডা জল শরীরে সহজে শোষিত হয় না। শরীরকে আগে সেই জলের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে হয়, যার ফলে হাইড্রেশন প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়।
তাই সুস্থ ও সতেজ থাকতে চাইলে বরফ জল না খেয়ে ঠান্ডা বা ঘরোয়া তাপমাত্রার জল পান করাই সর্বোত্তম। এতে শরীরের হাইড্রেশন বজায় থাকবে, হজম ঠিক থাকবে এবং গ্রীষ্মকালেও শরীর থাকবে সজীব ও সুস্থ।
ডঃ রাহুল মালহোত্রা (ফিজিশিয়ান, দিল্লি) আরও বলেন, “গ্রীষ্মে শরীরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে জল অবশ্যই পান করতে হবে, তবে তা যেন খুব ঠান্ডা না হয়। ঘরোয়া তাপমাত্রার জলই শরীরের পক্ষে সবচেয়ে উপকারী।”