সেই সময় হোটেল ভাড়াও থাকে বেশ কিছুটা বেশি। তবে এখন এই গরমের সময় অনেকটাই কম টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে রুম। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক হোটেল মালিক সুজিত হাজরা জানিয়েছেন, “অফ সিজেন বলেই এখন ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হচ্ছে। পর্যটকদের এইসময় ঘুরতে এলে ভাল লাগবে। নিরিবিলিতে সময় কাটাতে পারবেন। এছাড়াও আমাদের এখানকার আমের সুনাম রয়েছে, সেই আম পর্যটকরা ঘুরে দেখে মনের মত করে স্বাদ উপভোগ করতে পারবেন।”
advertisement
মূলত অফ সিজেন বলেই এইসময় পর্যটক টানতে এহেন চিন্তাভাবনা নিয়েছেন হোটেল ব্যবসায়ীরা। তবে চুপি পাখিরালয় জনপ্রিয় পরিযায়ী পাখির জন্য। শীতকালে প্রচুর বিদেশি পাখি দেখা যায় এই জায়গায়। তবে এইসময় গেলেও দেখা মিলবে একাধিক পাখির। এছাড়াও এখন ভিড় তুলনামূলক অনেক কম। তাই এই গরমে যারা ঘুরতে যাবেন তারা পেয়ে যাবেন একেবারে নিরিবিলি শান্ত এবং মনোরম একটা পরিবেশ। বন্ধু – বান্ধব, আত্মীয় – পরিজনদের নিয়ে কাটাতে পারবেন একটা দারুণ সময়। এছাড়া নৌকা বিহারের ব্যবস্থা তো রয়েইছে। নৌকায় চেপে পাখি দেখার মনোরম দৃশ্য করে নিতে পারবেন ফ্রেম বন্দি। স্থানীয় নৌকা মাঝি রঞ্জিত দাস জানিয়েছেন, “এখন জাকানা, লিটিল গ্রিপ, ইন্ডিয়ান ফ্লাইক্যাচার সহ আরও বেশ কিছু পাখি দেখা যাচ্ছে। আর এখন পর্যটক এলে সত্যিই ভাল লাগবে। কারণ বৃষ্টি পড়লে এখানকার পরিবেশ আরও সুন্দর দেখায়।”
আরও পড়ুন: ইতিহাস, সৌন্দর্য ও নির্জনতায় মোড়া… একদিনের ছুটির জন্য আদর্শ পূর্ব বর্ধমানের এই জায়গা
অফ সিজেনে নিরিবিলিতে নৌকা বিহারের মজা সঙ্গে থাকবে পূর্বস্থলীর সুস্বাদু আম খাওয়ার সুযোগ। সবমিলিয়ে গরমের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একেবারে আদর্শ এই জায়গা। চুপির পাখিরালয় পৌঁছানো খুব সহজ। ট্রেনে বর্ধমান স্টেশনে নেমে সেখান থেকে ট্যাক্সি বা স্থানীয় পরিবহন নিয়ে চুপিতে পৌঁছানো যায়। আবার পূর্বস্থলী স্টেশনে নেমেও খুব সহজেই যাওয়া যাবে। গাড়িতে কলকাতা থেকে প্রায় ১৩০ কিলোমিটার দূরত্ব, যা সড়কপথে ৩-৪ ঘণ্টায় পৌঁছে যাওয়া সম্ভব।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী