ভুটান সীমান্তের রণবাহাদুর বস্তি।এই এলাকায় অবস্থিত মুচিডাঙা এলাকাটি।তোর্ষা নদীর গর্জন এই এলাকাতে সবসময় শোনা যায়।এই এলাকার নদীর পাড়ের দুশো মিটার বিপজ্জনক স্থান ছেড়ে বাকি জায়গা পিকনিকের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।পিকনিকের স্থানটি পরিস্কারের দায়িত্ব নেওয়া হয়েছে এলাকার মহিলাদের পক্ষ থেকে।এই পিকনিক স্পটটিতে প্রবেশের মুখে দু’ধারে রয়েছে চা বাগান।এক কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে দেখা মিলবে একটি চেক পোস্টের।এখানে গাড়ির পার্কিং করানো হবে।এখানে পার্কিং বাবদ অর্থ নেওয়া হবে।সংগৃহীত অর্থ পিকনিক স্পটের উন্নয়নের জন্য কাজে লাগানো হয়।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দলসিংপাড়া মুচিডাঙা এলাকার মহিলাদের পক্ষ থেকে এই পিকনিক স্পটটিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে।পিকনিক করতে আসা মানুষদের জন্য খড় ও বাঁশ দিয়ে ছোট ছাউনি তৈরি করা হয়েছে।গাছের সঙ্গে দোলনা ঝোলানো রয়েছে।সেলফি পয়েন্ট,ছোট ব্রীজ রাখা হয়েছে।ছাউনি ঘরের সংখ্যা কম হলেও চিন্তার কারণ নেই।এই পিকনিক স্পটে রোদের দেখা তেমনভাবে মেলেনা।জঙ্গলে ঘেরা এই স্থানটি।তোর্ষা নদীর ওপাড়ে রয়েছে ভুটান পাহাড়।
এলাকার বাসিন্দা তথা পিকনিক স্পটের দেখভাল করছেন রেণুকা থাপা নামের এক মহিলা।তিনি জানান,”আমাদের অনেক সুবিধা হল।চা বাগান তো এমনিতেই বন্ধ।পিকনিক স্পটটি আছে তার জন্য ফেব্রুয়ারির শেষের দিক পর্যন্ত ভাল আয় করতে পারব আশা রাখছি।পিকনিক করতে আসা মানুষদের অসুবিধাও হবে না।দুরে গিয়ে জল আনতে হবে না।” প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর এমন পিকনিক স্পট রয়েছে,তা হয়ত জানা নেই কারও।পিকনিক স্পটের সঙ্গে যুক্ত মহিলারা চাইছেন প্রচার পাক এই স্থানটি।
Annanya Dey