এখন পিকনিক মরশুম চলছে। স্বভাবতই বাজারে চাহিদা বেড়েছে মাংসের। অনেকেই দেশি চিকেন খেতে পছন্দ করেন। এই পিকনিক মরশুমে বাজারে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে দেশি মুরগির মাংস। চাহিদা অনুযায়ী বাজারে তেমন যোগানের ঘাটতি রয়েছে দেশি মুরগির। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দেদার বিক্রি করছেন সোনালী প্রজাতির মুরগি। কীভাবে চিনবেন দেশি মুরগি?
advertisement
আরও পড়ুন: জুতো খুললেই দুর্গন্ধ? লজ্জায় পড়তে হয়? জানুন সহজ কয়েকটি সমাধান! মিনিটে পালাবে!
জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, দেশি মুরগি খোলা জায়গায় ঘুরে ঘুরে বড় হয়। তাই এই মুরগি বৃদ্ধি পেতে অনেক দিন সময় লাগে। দেশি মুরগির মাংস কম হয়। হাড় শক্ত হবে। কিন্তু সোনালী প্রজাতির মুরগি বর্তমানে মালদহের বিভিন্ন ফার্মে চাষ হচ্ছে। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে মুরগির ওজন ১ কেজি করা হচ্ছে। বয়লার মুরগির মত এদের প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়ানো হচ্ছে। এই মুরগির মাংস নরম হার নরম। এই ভাবেই চেনা সম্ভব এই সোনালী প্রজাতির মুরগি।মালদহ জেলা প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের আধিকারিক উৎপল কুমার কর্মকার বলেন, বাজারে বাংলাদেশের সোনালী প্রজাতির মুরগিও বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি বলে একশ্রেণীর ব্যবসায়ী এগুলি বিক্রি করছেন। তবে দেশি মুরগি ও সোনালী প্রজাতির মুরগির মধ্যে বেশ কিছু ফারাক রয়েছে। দেশি মুরগির মাংস শক্ত হয়, সোনালী মুরগির মাংস নরম হয়। সোনালী প্রয়াতির মুরগি এখন বিভিন্ন ব্যবসায়ী কৃষক চাষ করছে। দেশি হিসেবে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকা দরকার।
আরও পড়ুন: স্বামীকে বশে রাখতে চান? প্রেম টেকাতে চান? গাঁদা ফুল দিয়ে সন্ধে বেলায় করুন এই কাজ
সোনালি প্রজাতির মুরগি মূলত বাংলাদেশের চাষ হয়ে থাকে। ভারতবর্ষে এই মুরগির চাষ করার কোন অনুমতি এখনো পর্যন্ত সরকারিভাবে দেওয়া হয়নি। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী চুপিচুপি এই মুরগি চাষ করছেন। দেশি মুরগি বলে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। তাই এই মুরগি থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার বার্তা দিচ্ছেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দফতরের কর্তারা। দেশি মুরগির থেকে এই মুরগির দাম অনেক কম কিন্তু বাজারে দেশি মুরগির দামে বিক্রি হচ্ছে এখানে ঠগে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
হরষিত সিংহ