ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে চৈত্র মাসে শিব ঠাকুরের আরাধনা নৃত্যগীতির বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। তবে এই চড়ক পুজোর কী নিয়ম পালন করতে হয় জানেন কি? পুরোহিত সুরজিৎ কুমার শাহ জানান, ‘‘এই চড়ক পুজো যাঁরা করেন তাঁদের পুরো চৈত্র মাস জুড়ে নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে হয়। এই সময়ে রসুন , পেঁয়াজের পাশাপশি কোনো রকম আমিষ জাতীয় খাবার গ্রহণ করা চলবে না। এছাড়া পুরো মাস জুড়ে সন্ন্যাসীদের মত জীবনযাত্রা পালন করতে হয়। এই সময় শিব গাজন যারা করেন তাঁরা দিনে একবার নিরামিষ আহার গ্রহণ করেন,পায়ে জুতা না পরেই এই একমাস সন্ন্যাস জীবন যাপন করেন।’’
advertisement
আরও পড়ুন : কলকাতার কাছেই এক টুকরো ইউরোপ! অল্প খরচে ঘুরে আসুন এই গ্রাম থেকে
চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিন চড়কগাছকে পরিষ্কার করে জলভরা একটি পাত্রে শিবের প্রতীক শিবলিঙ্গ রাখতে হয় এবং গাছের পুজো করতে হয়।শেষে গাছ ঘুরিয়ে চৈত্র সংক্রান্তির শেষে এই ব্রতের সমাপ্তি ঘটে। এবং নববর্ষে এই ব্রত বিধি যারা পালন করেন তাদের মৎসমুখী অনুষ্ঠান করতে হয়। মৎস্যমুখী অনুষ্ঠান প্রত্যেক চড়ক ব্রতধারীদের মাছ খাওয়ার নিয়ম রয়েছে।এছাড়া এই সময় যারা বাড়িতে চড়ক নামায় তাঁদেরও কিছু নিয়ম মানতে হয়। যারা বাড়িতে চড়ক নামান তাদের চার থেকে পাঁচ দিন আগে নিরামিষ খেয়ে ঘর বাড়ি পরিষ্কার রাখতে হয়। এ পুজোতে অন্যান্য পুজোর মতোই উপকরণের প্রয়োজন হয়। এইভাবে পুরো মাস জুড়ে নিয়ম নীতির সঙ্গে পুজো করা হয় চড়ক পুজোর।