বঙ্গজীবনে বারো মাসে তেরো পার্বণের শেষ লগ্নে আসে চড়ক ও গাজন৷ নতুন বছরকে বরণ করার আগে চৈত্র মাসের শেষে পালিত হয় এই উৎসব বা পার্বণ৷
স্থানভেদে পাল্টে যায় এই লৌকিক আচারের নাম ও রীতি৷ গাজনের শেষ দিন অর্থাৎ চৈত্র সংক্রান্তির দিন পালিত হয় চড়ক উৎসব৷
‘ধান ভানতে শিবের গীত’ বা ‘চক্ষু চড়কগাছ’-এর মতো প্রবাদের জন্ম এই চড়ক ও গাজন পার্বণ থেকেই৷
কালীপ্রসন্ন সিংহ বা হুতোম প্যাঁচার লেখা বই ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা’-য় অষ্টাদশ শতকের কলকাতায় চড়কের বর্ণময় বিবরণ আছে৷
কিন্তু এখন শহুরে জীবনে চড়ক বা গাজনের প্রভাব অনেক কম৷ বরং গ্রামে এখনও এই উৎসব সাড়ম্বরে পালিত হয়৷ এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে বহুরূপী ও সং সাজার প্রথাও।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গ্রামজন থেকেই গাজন শব্দের জন্ম৷ এ বছর চৈত্র সংক্রান্তি পড়েছে ১৪ এপ্রিল, শুক্রবার৷ সেদিনই চলতি ১৪২৯ বঙ্গাব্দের চৈত্র মাসের শেষদিন৷
চড়ক ও গাজন মূলত শিবপুজো কেন্দ্রিক উৎসব৷ তাই এই সময়ে সন্তানদের মঙ্গলকামনায় পালিত ব্রতকে বলা হয় ‘নীলষষ্ঠী৷’
এ বছর নীলষষ্ঠী ব্রত পড়েছে ১৩ এপ্রিল, বৃহস্পতিবার৷ তার পরের দিন চড়কপুজো পেরিয়ে শনিবার ১৫ এপ্রিল ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নেওয়া হবে৷
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
...