সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে রান্না করা এই মাংস কার্যত আজকের ‘ওয়ান পট ডিশ’-এর পূর্ব সংস্করণ৷ পেঁয়াজ, আদা, রসুন, লবঙ্গ, দারচিনি, তেজপাতা এবং শুকনো লঙ্কার ঘ্রাণে জড়িয়ে যায় সর্ষের তেলের ঝাঁঝ৷ বিহার ও বাংলার আদি রান্নায় সর্ষের তেলের ব্যবহার অকৃত্রিম৷
আরও পড়ুন : শীতের আমেজে জমুক মৌতাত, হরেক উপাদানের রকমারি সুবাসের চা-বাহার থেকে বেছে নিন পছন্দমতো
advertisement
হান্ডি মাটনের ক্ষেত্রে অর্ধেক সর্ষের তেল দিয়ে মাংস ম্যারিনেট করতে হবে৷ বাকিটা দিয়ে রান্না করতে হবে৷ ম্যারিনেশন করতে হবে হাত দিয়েই৷ রান্নার সময় ধৈর্য ধরতে হবে অনেকটা৷ যত ক্ষণ না মাংস নরম হবে, রান্না করে যেতে হবে৷
আরও পড়ুন : মাশরুম খান না? বঞ্চিত হচ্ছেন বহু উপকারিতা থেকে
১ কেজি খাসির মাংসের জন্য নিন ৭৫০ গ্রাম পেঁয়াজ, ২ টো রসুন এবং আন্দাজমতো আদা৷ যাতে ৬ চামচ আদা-রসুন বাটা হয়৷ ১ চামচ ধনেগুঁড়ো বা ধনেবাটা, ১ চামচ হলুদগুঁড়ো, ২ চামচ লঙ্কাগুঁড়ো বা লঙ্কাবাটা, কয়েকটা গোটা কাঁচালঙ্কা, ২ চামচ কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, ২ চামচ লেবুর রস, ১৫০ গ্রাম টকদই, হাফ কাপ সর্ষের তেল, ১ চামচ গরমমশলা গুঁড়ো, ১০ টা লবঙ্গ, গোটা গোলমরিচের দানা ৮ টা, দারচিনি, তেজপাতা, ৪ চামচ গোটা জিরে, ১ চামচ জিরেগুঁড়ো, স্বাদমতো নুন এবং হাঁড়ির মুখ বন্ধ করার জন্য আটা৷
আরও পড়ুন : ৩ হাজার বছরের প্রাচীন রেসিপিতে শীতের রোদে তৈরি করুন গোলাপের জ্যাম ‘গুলকন্দ’, খান বছরভর
তিন চতুর্থাংশ তেল এবং সব উপকরণের সঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে মাংস ম্যারিনেট করে রাখুন অন্তত আধঘণ্টার জন্য৷ এ বার মাটির হাঁড়ি গরম করে তাতে বাকি তেল দিয়ে দিন৷ তাতে দিয়ে দিন ম্যারিনেটেড মাংস৷ হাঁড়ির মুখ বন্ধ করে দিন আটার মণ্ড দিয়ে৷ এ বার ঢিমে আঁচে রান্না হতে দিন৷ এক থেকে দেড় ঘণ্টা লাগে মাংস সুসিদ্ধ হতে৷ মাঝে মাঝে মুখবন্ধ হাঁড়ি সাবধানে তোয়ালে বা মোটা কাপড় দিয়ে ধরে ভাল করে নাড়িয়ে দিন৷ যাতে মাংসর সঙ্গে সব উপকরণ মিশে যায়৷ এক ঘণ্টা পর ঢাকনা খুলে দেখুন মাংস ভাল সিদ্ধ হয়েছে কিনা৷ না হলে আরও কিছু ক্ষণ সময় দিতে হবে৷ মাংস নরম হয়ে এলে উপরে ধনেপাতা ছড়িয়ে পরিবেশন করুন গরমাগরম, ভাত বা রুটির সঙ্গে৷
মাটির হাঁড়িতে রান্না করা না হলে এই রান্নার স্বাদ খুলবে না৷ আপনি অনলাইনে মাটির হাঁড়ি কিনতে পারেন৷