কোনও ওষুধ নয়, কোনও অস্ত্রোপচার নয়- কেবলমাত্র নিয়মিত যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম ও ধ্যানের মাধ্যমে নিজেকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তুলেছেন তিমিরবাবুর। শরীর থেকে গায়েব হয়েছে ক্যানসারও। কথা বলে জানা যায়, অশোকনগর কুচুয়া মোড়ের বাসিন্দা তিমিরবরণবাবুর জীবনে একসময় এভাবেই নেমে এসেছিল অন্ধকার।
advertisement
প্রথমে ধরা পড়ে অর্শ, তার থেকেই এরপর শরীরে ধরা পড়ে ক্যানসারের কোষ। এই খবর শুনেই পরিবারের সদস্যদের চোখে জল, আর ঘরে যেন নেমে আসে নীরবতা। শহরের একাধিক নামী চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েও লাভ হয়নি। সকলের একটাই উত্তর- এ রোগ সারানো সম্ভব নয়, যতদিন আছেন ওষুধেই দিন কাটান।
আরও পড়ুন: ফলে লাগানো ‘ফরমালিন’ দূর করার সঠিক কায়দা জানেন…? তুড়িতে দূর করুন! শিখে নিন ‘টোটকা’
মারণ রোগ থাবা বসানোয় জীবনে নেমে আসে হতাশা, ক্লান্ত তিমিরবরণ বাবু তখন ভেঙে পড়েছিলেন মানসিকভাবেও। ঠিক সেই সময় টেলিভিশনে যোগব্যায়াম সম্পর্কিত একটি অনুষ্ঠান দেখে যেন তাঁর জীবনে নতুন আশার আলো জাগে। নিজের মনকে বোঝান- একবার চেষ্টা করে দেখা যাক। সেই থেকেই শুরু প্রতিদিনের লড়াই। ভোরবেলা উঠে নিয়মিত যোগব্যায়াম, প্রাণায়াম ও ধ্যানচর্চা করতে থাকেন। ধীরে ধীরে শরীরে ফেরে শক্তি, মনের জড়তা কেটে যায়।
এক বছরের মধ্যেই ঘটে আশ্চর্য পরিবর্তন- শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট জানায়, তাঁর শরীরে আর কোনও ক্যানসার কোষ নেই। বর্তমানে সম্পূর্ণ সুস্থ তিমিরবরণ দে। দীর্ঘ সময় হরিদ্বারে যোগগুরু স্বামী রামদেবের সংস্পর্শে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে অশোকনগর-সহ গোটা জেলায় বিনামূল্যে যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মানুষকে রোগ মুক্তির পথ দেখাচ্ছেন তিনি। তিনি যেন বহু মানুষের কাছে এখন অনুপ্রেরণা, যিনি প্রমাণ করেছেন- ইচ্ছাশক্তি হল জীবনের সবচেয়ে বড় ওষুধ। যা মারণ রোগকেও জয় করতে পারে।





