আরও পড়ুন- সাধের ফুচকাই এবার ঝরাবে ওজন, জেনে নিন কীভাবে
আসলে নিজেই ক্যালোরি সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নয় আমরা যেভাবে আলু রান্না করি তাতেই খাবারটি অস্বাস্থ্যকর (Weight Loss) হয়ে ওঠে। আলু ভেজে, আলুর পুর করে বা মাখন এবং ক্রিম দিয়ে আলু খেতে এতটাই পছন্দ করি আমরা যে আলু বেক করে বা সেদ্ধ করে, রোস্ট বা এয়ার ফ্রাইয়ের মতো স্বাস্থ্যকর উপায়ে রান্না করার কথা মাথাতেও আসে না।
advertisement
আলু অতিরিক্ত খিদে আটকায়
আলু আসলে পুষ্টিগুণে ভরপুর যার ফলে ওজন কমানোর খাবার হিসেবে এটি আদর্শ। আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং প্রতিরোধী স্টার্চ থাকে যার ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। পেট ভরা থাকলে খিদেও কম পায়, ভুলভাল খাওয়ার প্রবণতাও কমে, কম ক্যালোরি খাওয়া হলে ওজনও কমে (Weight Loss)।
আলু মেটাবলিজম বাড়ায়
পুষ্টিবিদরা বলেন যে আলুতে প্রচুর পরিমাণে আলু প্রোটিজ ইনহিবিটরস-২ পাওয়া যায়, যা কোলেসিস্টোকিনিন হরমোন নিঃসরণ করে পেট ভরায়। এছাড়াও, আলু পলিফেনল নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা শর্করা ভেঙে বিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।
আরও পড়ুন- করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে 'মস্তিষ্কের কুয়াশা'য় ভুগতে পারেন আপনিও! কী এর উপসর্গ?
আলু কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে
আলুতে থাকা পটাসিয়াম শরীরে জল ধরে রাখা আটকায় এবং ডায়েটিশিয়ানদের মতে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে আলু চর্বির কোষও সঙ্কুচিত করতে পারে।
সঠিক উপায়ে আলু খান
ডুবো তেলে ভাজা আলু, বা চিপস বা ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খাওয়া অবশ্যই স্বাস্থ্যকর নয়। এয়ার-ফ্রাইং, বেকিং, এবং রোস্টিংয়ের মতো পদ্ধতিতে আলু রান্না করে খেতে পারেন৷
স্বাস্থ্যকর বিকল্প দিয়ে অস্বাস্থ্যকর আলুর স্ন্যাকস বদলে ফেলা সবসময়ই সম্ভব। বেকড আলু চিপস খেতে পারেন এবং প্রসেসড চিপস বা ছাঁকা তেলে ভাজা চিপসের পরিবর্তে জলপাই তেলে ভাজা চিপস খেতে পারেন।