করোনা মহামারীর ফলে সঠিক চিকিৎসায় বাধা এবং অন্যান্য নানা বাধার জন্য পুরো ভারত জুড়েই ব্রেস্ট ক্যানসার রোগীদের ঠিক মতো পরিষেবা দেওয়া হয়নি। এছাড়াও বিভিন্ন গ্রামীণ এবং শহরাঞ্চলে উপযুক্ত পরিকাঠামোর অভাবে এই রোগের সঠিক চিকিৎসা করাও সম্ভব হয় না। পাশাপাশি, ব্রেস্ট ক্যানসার রোগ নিয়ে ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভয় এবং সামাজিক সমস্যা। অনেক মহিলাই লোকলজ্জার ভয়ে এই রোগ গোপন করে থাকে। এর ফলে দেখা দেয় সমস্যা। কিন্তু সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যানসার রোগ সারিয়ে তোলা সম্ভব। এমনকি বর্তমানে আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থার মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যানসারের অ্যাডভান্সড স্টেজের রোগীদেরও সুস্থ করে তোলা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন- এই স্বাদ জড়িয়ে আছে ঐতিহ্যসূত্রে; কালীপুজোয় পাত জুড়ে থাক নিরামিষ পাঁঠার মাংসের ঝোল
ব্রেস্ট ক্যান্সারের কয়েকটি লক্ষণ -
- স্তনের কোনও অংশ পুরু বা উঁচু হয়ে উঠতে পারে অথবা স্তনের কোনও অংশ মাংসপিণ্ডের মতো জমাট বাঁধতে পারে।
- স্তনের বৃন্তের গঠন বা আকৃতির পরিবর্তন হতে পারে।
- স্তনের আকারের পরিবর্তন হতে পারে।
- স্তনের কোনও অংশ ফুলে যেতে পারে।
- স্তনের যে কোনও অংশের রঙ বদলাতে পারে।
এই সকল লক্ষণগুলোর মধ্যে কোনও একটি দেখা দিলেই, সেটি নিয়ে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার। এই ধরনের রোগ নিয়ে বসে থাকলে তা আরও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে অবহেলা না করে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমেই সারিয়ে তোলা যায় এই রোগ।
কলকাতার আমরি (AMRI) হাসপাতালের কনসালট্যান্ট অঙ্কোলজিস্ট (Consultant Oncologist) এবং হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট (HOD) ডা. চঞ্চল গোস্বামী (Dr Chanchal Goswami) জানিয়েছেন যে "বর্তমানে কলকাতা সহ পুরো ভারতেই সব থেকে কমন ক্যানসার হল স্তন ক্যানসার। মহিলাদের ক্ষেত্রে সব ধরনের ক্যানসারের মধ্যে প্রায় ২৩ শতাংশ মহিলাই ব্রেস্ট ক্যানসারে আক্রান্ত। কিন্তু সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে প্রায় ৩৫ শতাংশ মহিলাকেই সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে, যারা ব্রেস্ট ক্যানসারের অ্যাডভান্সড স্টেজে ছিল। কলকাতায় ৪৫ এবং তার বেশি বয়সের মহিলাদের মধ্যেই এই রোগ সব থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে।’’
আরও পড়ুন-ব্রেস্ট ক্যানসার রোগিণীদের ডায়েটে কি বাদাম থাকা প্রয়োজনীয়?
কিন্তু একটা কথা অবশ্যই জেনে রাখা দরকার যে ব্রেস্ট ক্যানসার হলেই যে জীবন শেষ এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। বর্তমানের আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে এই রোগকে সারিয়ে তোলা সম্ভব। তাই রোগ না লুকিয়ে প্রথমেই যেতে হবে ডাক্তারের কাছে। নিজেরা সচেতন হলে ব্রেস্ট ক্যানসার নিয়ে অযথা চিন্তা করার কোনও কারণ নেই, আশ্বাস দিয়েছেন ডা. গোস্বামী।