মণিপুরি এই ধানের নাম ‘চাখাও পোইরিটন’। মণিপুরি ভাষায় চাখাও-এর মানে সুস্বাদু। তবে অবাক করা বিষয় হল এই সুস্বাদু ধানের চালকে নিষিদ্ধ চাল বলে মনে করেন অনেকেই। চালটি নিয়ে এমন মনোভাবের কারণ হল, এই চাল আগে শুধুমাত্র সমাজের উচ্চবর্গের মানুষের জন্যই স্বল্পমাত্রায় চাষ করা হতো। শুধুমাত্র বিত্তবানরাই এই চাল খাওয়ার অধিকারী ছিলেন! তবে আজব সামন্ত প্রথা অবলুপ্ত হওয়ার পর ভারতের উত্তর পূর্ব এবং দক্ষিণ অংশে এই চালের যথেষ্ট চাষ হচ্ছে। ফলনও হচ্ছে ভালই।
advertisement
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রধান ড : সুভাষচন্দ্র রায়ের দাবি, “খাদ্যগুণ ও সুগন্ধের জন্য গোটা বিশ্বের মধ্যে এই ‘চাখাও পোইরিইটন খুবই উৎকৃষ্ট মাণের। কারণ, এই ধানের চালে আছে প্রচুর পরিমানে ‘অ্যান্টি অক্সিডেন্ট’। যা ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স। এই চাল খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ অনেক কম হয় বলে একে ‘অ্যান্টি ডায়াবেটিস রাইস’ও বলা হয়। আয়রনও জিঙ্ক প্রচুর পরিমানে থাকার জন্য প্রসূতিদের ক্ষেত্রে পথ্য হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।”
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিস-কোলেস্টেরল? বয়সের ছাপ পড়ছে? খালি পেটে খান কাঁচা ছোলা! উপকার জানুন
এই কালো ধান নিয়ে বহুদিন ধরে গবেষণা করছেন বায়োটেকনলজি বিভাগের প্রধান সুভাষ চন্দ্র রায়। এমনকি এই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় বোটানি বিভাগে এই কালো ধান সহ আরও বিভিন্ন ধানের ব্রিডিং সেন্টারও তৈরি করা হয়েছে। চাষিরা চাইলে এখান থেকে ধানের বীজ নিয়ে যেতে পারেন।
অনির্বাণ রায়