TRENDING:

Bishnupur Tourism: শুধু স্থাপত্য নয়, মদনমোহন মন্দিরের প্রতিটি টেরাকোটা প্যানেলে লুকিয়ে আছে এক ইতিহাস

Last Updated:

Bishnupur Tourism: বাঁকুড়ার মন্দির নগরী বিষ্ণুপুরের অন্যতম আকর্ষণ মদনমোহন মন্দির। টেরাকোটা অলংকরণের জন্য বিখ্যাত এই মন্দিরটি মল্লরাজ দুর্জন সিংহ ১৬৯৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন। এটি পর্যটকদের কাছে এক জনপ্রিয় গন্তব্য।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বিষ্ণুপুর,নীলাঞ্জন ব্যানার্জী: বাঁকুড়ার মন্দির নগরী বিষ্ণুপুর। পুজোর আগে পর্যটকদের ঢল নামবে বিষ্ণুপুরে। একে একে ঘুরে দেখতে চান বিষ্ণুপুরের প্রতিটি পর্যটনকেন্দ্র। এ পর্যটন কেন্দ্র গুলির মধ্যে অন্যতম হল টেরাকোটার মদনমোহন মন্দির। অত্যন্ত সুন্দর পোড়ামাটি-অলংকরণ রয়েছে বিষ্ণুপুরের নগরদেবতা মদনমোহনের মন্দিরে।
advertisement

১.৪ মিটার উঁচু মাকড়া-পাথরের ভিতের উপর স্থাপিত মন্দিরটি। দক্ষিণ দিকে মুখ। পর্যটকেরা পরখ করে নিতে পারবেন টেরাকোটার আসল বাঁধন এবং শৈলী।

টেরাকোটার প্যানেলগুলিতে ফুটে উঠেছে পশু-পাখি থেকে ভাস্কর্য, কৃষ্ণ লীলা, দশাবতার ও অন্যান্য পৌরাণিক কাহিনী। উপরের দিকে স্থান পেয়েছে প্রধানতঃ যুদ্ধদৃশ্য।

আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে বাঁকুড়া ঘুরতে গেলে প্ল্যানে রাখুন লালবাঁধ, অপেক্ষা করছে আলাদা সৌন্দর্য! মিস করলে পস্তাবেন

advertisement

বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর শহরের বাবু ডাঙ্গায় অবস্থিত মদনমোহন মন্দিরটি দৈর্ঘ্যে-প্রস্থে ১২.২ মিটার ও উচ্চতায় প্রায় ১০.৭ মিটার। তৎকালীন মল্লরাজ দুর্জন সিংহ ১০০০ মল্লাব্দে (১৬৯৪ খ্রীষ্টাব্দে) এটির প্রতিষ্ঠা করেন। দক্ষিণের দেওয়ালের নিবন্ধীকরণ অনুযায়ী , “রাধাকৃষ্ণের পদকমলে তাঁদের প্রীতির জন্য বিশুদ্ধাত্মা দুর্জন সিংহ ভূমিপতি দ্বারা নিজ চিত্তরূপ অলির সঙ্গে এই সুন্দর রত্ন-মন্দির ১০০০ মল্লাব্দে নির্মল শুচি মাসে প্রদত্ত হল।”

advertisement

তবে পর্যটকদের জন্য এত গভীরে না গেলেও চলবে। সকাল সকাল বিষ্ণুপুর ঘুরুন আর তার সঙ্গে এই মন্দির যদি দেখেন তাহলে কেটে যাবে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত। খুঁজে পাবেন ইতিহাস।

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর হাতে দুর্গার প্রতিমা! সংসার সামলে ১.৭ ইঞ্চির দশভূজা গড়ে তাক লাগালেন বাঁকুড়ার গৃহবধূ

মারাাঠা দস্যুরা ভাস্কর পন্ডিতের নেতৃত্বে এক লক্ষ সেনা নিয়ে বিষ্ণুপুর আক্রমণ চেষ্টা করলে রাজা সমরসজ্জায় দৃষ্টি না দিয়ে প্রজাদের মদনমোহনের উপাসনা করার নির্দেশ দেন। কথিত আছে মদনমোহন নিজহস্তে কামানের তোপ বর্ষণ করে বিষ্ণুপুরকে রক্ষা করেন।

advertisement

যদিও ঐতিহাসিকেরা এই কিংবদন্তির সঙ্গে সহমত নন। তাদের মতে বিষ্ণুপুরের দুর্গ সেসময় অত্যন্ত দৃঢ় ছিল যা ভেদ করা মারাঠা দস্যু দের পক্ষে সম্ভব হয়নি। মদনমোহন বিষ্ণুপুর শহরের “নগর দেবতা”। এবং মদনমোহন মন্দির বিষ্ণুপুর শহরের অন্যতম বিশেষ একটি মন্দির।

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Bishnupur Tourism: শুধু স্থাপত্য নয়, মদনমোহন মন্দিরের প্রতিটি টেরাকোটা প্যানেলে লুকিয়ে আছে এক ইতিহাস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল