বাঁকুড়ার উত্তরভাগের শুশুনিয়া হোক বা দক্ষিণ বাঁকুড়ার মুকুটমনিপুর-রাণীবাঁধ পলাশের উপস্থিতি সর্বত্রই। অনান্য বার এই সময় পর্যটকদের ভিড় ব্যাপকভাবে থাকলেও এই বছর সেভাবে দেখা নেই। কলকাতার দমদম থেকে আসা শতাব্দী চৌধুরীর কথায়, ‘শুশুনিয়ায় পলাশের যা সৌন্দর্য উপভোগ করলাম তা অসাধারণ, এটা বলে প্রকাশ করা যায় না’।
আরও পড়ুন- গুরুতর অসুস্থ হিনা খান, রোজা চলাকালীন হঠাৎ কী হল? কাতর আর্জি নায়িকার, বাড়ছে উদ্বেগ!
advertisement
পলাশ দেখতে আসার নেশায় পর্যটকেরা শুশুনিয়া এলে স্থানীয় শিল্পীদের বাজারও বেশ সরগরম হয়ে ওঠে। এদিকে ঘটছে উল্টো ঘটনা, পলাশ ফুল ফুটলেও দেখা নেই পর্যটকদের। সেক্ষেত্রে নাটকের স্টেজ সুন্দরভাবে সাজানো থাকলেও নেই নাট্যকার। এ বিষয়ে স্থানীয় এক পাথরশিল্পী তারকনাথ রায় বলেন, ‘পাহাড়ে বসন্তের পলাশ ফুল দেখতে পাচ্ছি, কিন্তু সেভাবে পর্যটকদের দেখা নেই।’
গত বছর নিরাশ করেছিল প্রকৃতি। এই বছরের শুরুতেই পলাশ-শিমূলের ভাঁড়ারে কোথায় যেন ভাটা পড়েছিল আবারও। তবে অবশেষে পলাশের আঁচলে মুড়েছে রাঢ় বাংলার শুশুনিয়া। লাল মাটির দেশে মন ভাল করতে হাজির হচ্ছেন পর্যটকরাও। প্রাকৃতিক রঙের নেশায় ডুব দিতে তৈরি আট থেকে আশি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী