সঠিক ভাবে স্বর্ণালঙ্কার পরিধান আমাদের জীবনকে সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধিতে ভরে তুলতে সাহায্য করে। সে ক্ষেত্রে সোনা পরার সময় এই নিয়মগুলি মনে রাখা প্রয়োজন—
১. সোনা যে কোনও শক্তি এবং তাপ শোষণ করার ক্ষমতা রাখে। আর তাই এটি বিষাক্ত দ্রব্য পরিহারে সহায়তা করে।
২. সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে কনিষ্ঠা আঙুলে সোনা পরা যেতে পারে। নাম, খ্যাতি বা মর্যাদার চাহিদা থাকলে মধ্যমাতে সোনা পরা উচিত।
advertisement
আরও পড়ুন-ছোট একটা পরিত্যক্ত বাড়ি, কে জানত সেখানেই ডাঁই করে রাখা হত মরদেহ!
৩. কাজে মনোনিবেশ করতে না পারলে তর্জনীতে সোনা ধারণ করা উচিত।
৪. বিয়েতে বার বার বাধার সম্মুখীন হলে বা সঙ্গীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার অভাব থাকলে চেন বা দুল আকারে সোনা পরতে হবে।
৫. যাদের গর্ভধারণে সমস্যা আছে তারা তাদের অনামিকাতে সোনা পরতে পারেন।
৬. যারা পেটের সমস্যা বা স্থূলতা জনিত রোগে ভোগেন তাদের সোনা পরা এড়িয়ে চলা উচিত। যারা খুব সহজেই মেজাজ হারান তাদেরও স্বর্ণালঙ্কার এড়ানো উচিত। যাদের রাশিতে বৃহস্পতি উচ্চপদে রয়েছে তাদের সোনা পরা উচিত নয়।
৭. যারা লোহা, খনি ইত্যাদিতে কাজ করেন তাদেরও সোনা এড়িয়ে চলা উচিত। গর্ভবতী এবং বৃদ্ধ মহিলাদের স্বর্ণালঙ্কার পরিধান করা উচিত নয়।
৮. স্বপ্নদর্শনে অর্থ বা সোনা দেখা শুভ নয় বলে মনে করা হয়। এটি ভবিষ্যতে ত্বক এবং মুখের রোগ নির্দেশ করে। স্বপ্নে যদি কেউ প্রাচীনকালের স্বর্ণমুদ্রা দেখেন তবে তার কর্মজীবনের ক্ষেত্রে সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন-আপনি কি আদৌ সুখী, বলে দেবে এই একটি ছবি, চটজলদি মিলিয়ে দেখে নিন
৯. কোমরের নিচের অংশে সোনা পরা উচিত নয় ভাগ্য বিড়াম্বনা দেখা দিতে পারে।
১০. অ্যাঙ্কলেট হিসাবে সোনা পরা এড়িয়ে চলাই ভাল।
১১. এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে স্বর্ণালঙ্কার পরা অবস্থায় আমিষ খাবার খাওয়া বা অ্যালকোহল পান করা অশুভ। এটি দুর্ভাগ্য ডেকে আনতে পারে।
১২. সোনা সব সময় লাল রঙের কাগজ বা কাপড়ে মুড়ে রাখা ভাল। পূর্ব বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সোনা রাখলে তা শুভ ফল দেয়।
১৩. মাথার কাছে সোনা বা স্বর্ণালঙ্কার রাখলে তা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।
১৪. মেষ, কর্কট, সিংহ ও ধনু রাশির মানুষদের জন্য সোনা খুবই শুভ ধাতু। বৃশ্চিক এবং মীন রাশির জন্য সোনা মিশ্র ফল দেয়। বৃষ, মিথুন, কন্যা এবং কুম্ভ রাশির জন্য সোনা অশুভ ফল দেয়। তুলা ও মকর রাশির জাতকদের স্বর্ণালঙ্কার পরিধান করা এড়িয়ে চলা উচিত।