মনে রাখতে হবে যে পুষ্টিকর খাবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের কার্যকারিতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অনেক সংক্রামক জীবাণু ঠাণ্ডা ও শুষ্ক আবহাওয়াতে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। তাই এই সময়ে নানারকমের অসুখ অনেক বেশি হয়। ডিমের প্রধান সুবিধা হল এটি শরীরকে ক্ষতিকারক জীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। তাই শীতকালে ডিম খাওয়া খুবই জরুরি। রইল ডিমের দুটি সুস্বাদু পদ, যা জিভে জল তো আনবেই, তাছাড়া পুষ্টিরও জোগান দেবে।
advertisement
ডিমের কারি (মাখনি স্টাইল)
উপকরণ
৫ টা সেদ্ধ ডিম
১/৪ কাপ দই
১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল
১ টেবিল চামচ আদা রসুন বাটা
১ চা চামচ গোটা ধনে
১ চা চামচ কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো
১ চা চামচ জিরে
নুন স্বাদ অনুযায়ী
৮ থেকে ১০ গোটা আমন্ড বাদাম
৮ থেকে ১০ আস্ত কাজু
২ টেবিল-চামচ নুন ছাড়া মাখন, ভাগ করা
১ টেবিল চামচ আদা রসুন বাটা
১ চা চামচ চিনি
১টা টম্যাটো টুকরা করে কাটা
২ টেবিল চামচ শুকনো ধনের বীজ
দেড় চা চামচ গরম মশলা গুঁড়ো
আধ চা চামচ কাশ্মীরি লাল লঙ্কা গুঁড়ো
আধ চা চামচ নুন
এক কাপ জল
আধ টেবিল চামচ কসুরি মেথি
পদ্ধতি
নরম হওয়া পর্যন্ত ডিম সেদ্ধ করতে হবে। সেদ্ধ ডিমের খোসা ছাড়িয়ে একটি পাত্রে রাখতে হবে। সেদ্ধ ডিম নিয়ে, দই এবং উল্লিখিত সমস্ত মশলার ভাল ভাবে প্রলেপ দিতে হবে। ২০-২৫ মিনিটের জন্য আলাদা করে রাখতে হবে।
আরও পড়ুন : এত উপকারিতা ও গুণ সত্ত্বেও সরস্বতী পুজোর আগে কুল খাওয়া বারণ কেন, জানুন আসল কারণ
আরেকটি পাত্রে তেল এবং আধ চা চামচ মাখন একসঙ্গে দিয়ে কাঁচা মশলা যেমন তেজপাতা, গরম মশলা, কাশ্মীরি লাল লঙ্কা, গোল মরিচ, দারচিনি, আদা রসুনের পেস্ট, তার পর চিনি, ধনে এবং নুন দিয়ে ১-২ মিনিট ভাজতে হবে। তার পর আমন্ড বাদাম এবং কাজুবাদাম, পেঁয়াজ কুচি এবং টম্যাটো যোগ করতে হবে। ১০ মিনিটের জন্য চাপা দিয়ে রান্না করতে হবে। মিশ্রণটি ব্লেন্ডারে বা ফুড প্রসেসরে দিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করতে হবে। মাঝারি আঁচে রান্নার পাত্রে পেস্টটি রাখতে হবে। পেস্টে জল যোগ করে একটি মসৃণ সস তৈরি করতে হবে। মাঝে মাঝে নাড়তে হবে। সস ফুটতে শুরু করলে ম্যারিনেট করা সেদ্ধ ডিম এবং ঘন ক্রিম যোগ করতে হবে। ভাল করে নাড়তে হবে। পাত্র ঢেকে ৫ মিনিটের জন্য রান্না করতে হবে।
সবশেষে আধ চা চামচ মাখন এবং কসুরি মেথি যোগ করতে হবে। আবার ঢেকে রেখে ৮ থেকে ১০ মিনিট সময় দিতে হবে যাতে কসুরি মেথির স্বাদ ডিমের গ্রেভির সঙ্গে মিশে যায়।
ডিমের পরোটা
উপকরণ
২টি সম্পূর্ণ সেদ্ধ ডিম
এক কাপ গোটা গমের আটা
এক টেবিল চামচ তেল/ঘি
১/৪ চা চামচ আদা রসুন বাটা
১/৪ চা চামচ গোটা ধনে
১/৪ চা চামচ কাশ্মীরি লাল লঙ্কা
২টো কাঁচা লঙ্কা কুচি
১টা পেঁয়াজ কুচি
নুন আন্দাজ মতো
পদ্ধতি
নরম ময়দার তাল তৈরি করে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে।
একটি পাত্রে দুটি ডিম ভেঙে উপরে উল্লিখিত মশলা, তাজা কাটা কাঁচা লঙ্কা এবং কাটা পেঁয়াজ যোগ করতে হবে এবং ফেনা না হওয়া পর্যন্ত ভাল করে নাড়তে হবে।
একটি পাত্র গরম করে ঘি মাখিয়ে নিতে হবে এবং ময়দার তাল তার মধ্যে মাখিয়ে নিতে হবে। লেচি কেটে, বেলে নিয়ে পাত্রে পরোটা দিয়ে দুই দিক থেকে উল্টিয়ে সেঁকতে হবে। পরোটা আধ-কাঁচা অবস্থা পর্যন্ত রান্না করতে হবে। অর্ধেক সেঁকা হয়ে গেলে সাবধানে ডিমের ব্যাটার অর্ধেকটা লেয়ারে ঢেলে দিতে হবে। দুই দিকে উল্টিয়ে সোনালি বাদামি রঙ না হওয়া পর্যন্ত রান্না করতে হবে।