সেই কোন কাল থেকে কাবুলিওয়ালার ঝোলার ভিতর থাকত এই বিশেষ শুকনো ফলটি। স্বাস্থ্য রক্ষায় এই বিশেষ ফলটি যথেষ্ট কার্যকরী। তবে শুধু স্বাস্থ্য রক্ষায় নয়। চুলের জন্যও আখরোট বিশেষ উপকারী।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এর উপকার—
১. চুলের বাড় বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
২. খুশকি থেকে মুক্তি দেয়।
advertisement
৩. প্রাকৃতিক ভাবে সাদা চুলে রঙ আনতে পারে।
৪. মাথার ত্বকের যত্ন নেয়।
৫. ভাল রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন - বিশ্বকাপ ফুটবল ফিভার, ফরাসডাঙা এখন ছোট ফ্রান্স, চেনা জায়গার অন্য রূপ
চুলের বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার—
দেড় কাপ ভেজিটেবল অয়েলে একটি গোটা আখরোট সিদ্ধ করে নিতে হবে। তারপর তেলটি ফিল্টার করে রেখে দিতে হবে। সারা চুলে মালিশ করে নিতে হবে এই তেল।
খুশকি থেকে মুক্তি—
মাথার ত্বকে চুলকানি দূর করতে হলে আখরোটের খোসা পিষে নিয়ে তাতে লেবুর রস, মধু এবং অ্যালোভেরা মিশিয়ে স্ক্যাল্পে লাগাতে হবে। ৩০ মিনিট রেখে ভাল করে স্ক্র্যাব করে ধুয়ে ফেলতে হবে।
আরও পড়ুন - FIFA World Cup 2022: ‘বুড়ো’ রোনাল্ডো হোক বা ‘খোকা’ রিচার্লসন -কথা নয় কাজেই জাত চেনান
চুলের গোড়া শক্ত করতে—
আখরোট গুঁড়োর সঙ্গে দই মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগানো যেতে পারে। এতে চুলের গোড়ার পুষ্টি বাড়বে। গোড়া থেকে শক্ত হবে চুল।
হেয়ার মাস্ক তৈরির পদ্ধতি—
হেয়ার মাস্ক তৈরি করতে গেলে লাগবে ১০-১২ টি আখরোট, ১ কাপ দই, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ গোলাপ জল।
আখরোট নরম করার জন্য ১ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর তা পিষে নিয়ে দই, লেবুর রস, গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিতে হবে।
এরপর ভাল করে চুল আঁচড়ে নিয়ে মাথার ত্বকে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিতে হবে খুব ভাল করে। আধঘণ্টা রেখে ভাল করে শুকিয়ে নিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। চুল শুকিয়ে গেলে কোনও হালকা তেল মালিশ করে নিতে হবে।
এতে চুল হয়ে উঠে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল, আরও সুন্দর।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)