পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ১ ব্লকের অমর্ষি বাজারে পূর্ণেন্দু মাইতি এই গুড়ের বাতাসা বানিয়ে চলেছেন। তাঁর হাতের ছোঁয়ায় তৈরি গুড়ের বাতাসা এখন জেলার বাজার মাতিয়ে তুলেছে।। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি গুড়ের বাতাসা তৈরি করে চলেছেন। দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় তাঁর তৈরি বাতাসার স্বাদও একেবারে অনন্য। পূর্ণেন্দু মাইতির কথায়, আগের দিনে বাজারে চিনির বাতাসা বেশি জনপ্রিয় ছিল ঠিকই, কিন্তু এখন সবার স্বাস্থ্য-সচেতনতা আর ভিন্ন স্বাদের কারণে গুড়ের বাতাসার চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে। শুদ্ধ আখের গুড় ও সঠিক প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়ায় এই বাতাসা শুধু বড়দের নয়, বাচ্চাদের জন্যও বেশ উপকারী।
advertisement
আপনি চাইলে খুব সহজেই বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন এই গুড়ের বাতাসা। এর জন্য দরকার —জল, আখের গুড়, সামান্য চিনি, একটি ছিদ্রযুক্ত পাত্র, একটি ট্রে এবং সুগার পাউডার। প্রথমে একটি কড়াইতে ১/৪ কাপ জল নিয়ে তাতে অর্ধেক কাপ চিনি ও অর্ধেক কাপ আখের গুড় দিয়ে ভালভাবে ফুটাতে হবে। ফুটতে ফুটতে যখন মিশ্রণটি আঠালো হয়ে আসবে তখন সামান্য এলাচ গুঁড়ো দিলে স্বাদ আরও বাড়ে। মিশ্রণটি ঠিক হয়েছে কিনা তা বুঝতে দুই আঙুলে নিয়ে দেখতে হয়—যদি জালের মত বা সূতার মত টান পড়ে, তাহলে বুঝতে হবে বাতাসা তৈরির পর্যায়ে মিশ্রণটি পৌঁছে গেছে। এরপর একটি ট্রেতে আগে থেকে ছড়িয়ে রাখা সুগার পাউডারের উপর ছিদ্রযুক্ত পাত্র ব্যবহার করে একের পর এক ছোট ছোট গোলাকৃতি ঢেলে দিতে হবে।
মাত্র কয়েক মিনিটেই শুকিয়ে তৈরি হয়ে যায় মজাদার গুড়ের বাতাসা। যেকোনও সময় নাস্তার তালিকায় রাখতে পারেন এই সুস্বাদু ঐতিহ্যবাহী বাতাসা। শীতের সকালের চায়ের সঙ্গে গুড়ের বাতাসা হলে স্বাদ হবে দ্বিগুণ। আবার বিশেষ কোনও অনুষ্ঠানের মেনুতেও রাখতে পারেন সুস্বাদু গুড়ের পায়েস। শুধু খাওয়ার জন্য নয়, গুড়ের স্বাদ ও গন্ধ ধরে রাখতে এই বাতাসা দিয়ে নতুন নতুন রেসিপিও তৈরি করা যায়। ফলে শীতের আনন্দ বাড়াতে এবং সুস্বাদ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস গড়তে গুড়ের বাতাসা হতে পারে সবার প্রথম পছন্দ। এই মিষ্টি শুধু স্বাদের জন্য নয়, গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের অন্যতম ধারকও বটে।





