Budh Vakri 2025: ভয়ঙ্কর দুঃসময় আসছে...! বক্রী হচ্ছে গ্রহরাজ বুধ, কর্কট -সহ ৩ রাশির কপালে দুঃখের শেষ নেই, জীবন হবে 'নরক'

জ্যোতিষশাস্ত্র আগামী দিনের জন্য গণনা ব্যবহার করে। যখন কোনও গ্রহ তার রাশি পরিবর্তন করে, তখন এটি শুভ এবং অশুভ উভয় ফলাফলই দিতে পারে। গ্রহরাজ বুধ, একটি নির্দিষ্ট সময় পরে তার রাশি পরিবর্তন করে।

এই সময়ে বুধের অবস্থান বিবেচনা করুন৷ এটি বৃশ্চিক রাশিতে রয়েছে, যেখানে এটি মঙ্গল গ্রহের সংযোগস্থলে অবস্থিত। যখনই এই দুটি গ্রহ তাদের গতি বা গমন পরিবর্তন করে, তখন এটি প্রতিটি ব্যক্তির জীবনে প্রভাব ফেলে।

২৩শে নভেম্বর সন্ধ্যায়, গ্রহরাজ বুধ তার গতিপথ পরিবর্তন করবে এবং বিপরীতমুখী হবে, অর্থাৎ বিপরীতমুখী হবে। এই গোচর ১২টি রাশির উপর প্রভাব ফেলবে। উজ্জয়িনীর আচার্য আনন্দ ভরদ্বাজের মতে, এই সময়টি কিছু রাশির জন্য চ্যালেঞ্জে পূর্ণ হবে, আবার কিছু রাশির জন্য বুধের প্রভাব ইতিবাচক এবং উপকারী হবে। পন্ডিত কল্কি রামের থেকে রাশিচক্রের উপর এর প্রভাব সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

মেষ রাশি – এই রাশির অধীনে জন্মগ্রহণকারীদের জন্য বুধের বিপরীতমুখী গতি খুবই অশুভ বলে মনে করা হয়। বুধ তুলা রাশির লগ্নে গমন করবে, যার ফলে আর্থিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। যানবাহন দুর্ঘটনারও সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ ব্যর্থতার দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই সময়ে, জাতকদের তাদের কথাবার্তায় বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত। কঠোর বা অপমানজনক শব্দ এড়ানো উচিত।

কর্কট রাশি– এই রাশির অধীনে জন্মগ্রহণকারী ব্যক্তিরা বুধের বিপরীতমুখী গতির কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তুলা রাশিতে বুধের বিপরীতমুখী গতির কারণে উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পারিবারিক সম্পর্ক এবং বৈবাহিক জীবনে দ্বন্দ্বের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধের সরাসরি গতি মানসিক চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আপনি যদি ব্যবসা করেন, তাহলে ক্ষতি এবং আর্থিক অসুবিধার সম্ভাবনা রয়েছে। এর ফলে সমস্যা হতে পারে। ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। গাড়ি চালানোর সময় সতর্ক থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দুর্ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।

মকর রাশি - এই রাশির জাতক জাতিকাদের উপর শনির আধিপত্য রয়েছে এবং তুলা রাশিতে বুধের প্রবেশ মকর রাশির জাতক জাতিকাদের জন্য শুভ বলে বিবেচিত হবে না। বুধের পশ্চাদমুখী হওয়ার ফলে শারীরিক সমস্যা, ব্যবসায়িক ক্ষতি এবং মানসিক চাপের সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব, নতুন কিছু শুরু করার আগে সাবধানে চিন্তা করুন। সম্ভব হলে, কঠোর কথা এড়িয়ে চলুন, কারণ বড় ধরনের বিবাদ আদালতের কার্যক্রমের দিকে নিয়ে যেতে পারে।