TRENDING:

Bankura Tourism: গা ছমছমে মহাশ্মশান আজ শিল্পীর হাতের জাদুতে পর্যটন কেন্দ্র! বাঁকুড়া ঘুরতে গেলে মিস করবেন না 'এই' কালী ক্ষেত্র

Last Updated:

মহা শ্মশান, মানুষ এই চত্বরে আসতে ভয় পেতেন। আজ সেই কালী ক্ষেত্র যেন আর্ট মিউজিয়াম! একজন শিল্পী চান তাঁর কাজ অমর হয়ে থাকুক মানুষের চোখে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বাঁকুড়া, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়: পলাশতলা মহাশ্মশান, মানুষ এই চত্বরে আসতে ভয় পেতেন। আজ সেই কালী ক্ষেত্র যেন আর্ট মিউজিয়াম! একজন শিল্পী চান তাঁর কাজ অমর হয়ে থাকুক মানুষের চোখে। শিল্পীর শিল্পসত্তার আসল পরিচয় তাঁর কাজ। শিল্পীর আসল সফলতাই হল শিল্পের গ্রহণযোগ্যতা এবং শিল্পের গভীরতায়। এমনই একটি কাজ করেছেন বাঁকুড়ার বর্ষীয়ান শিল্পী সুজয় দাস। বাঁকুড়ার লাল মাটির কাঁকড়, পাথরের বোল্ডার, শব দাহ করার টায়ার এবং সিমেন্ট দিয়ে তৈরি করেছেন একাধিক মূর্তি। একদিন দুইদিনে নয় দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে এই কাজ। আরও আশ্চর্য্য এই যে মূর্তিগুলি বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন, পলাশতলা মহাশ্মশানে তৈরি করেছেন তিনি।
advertisement

প্রায় ৫০ বছর আগে যখন স্কুলের ছাত্র ছিলেন তখন থেকেই, এই শ্মশানে বেড়াতে আসতেন শিল্পী সুজয় দাস। গাছ গাছালিতে ঘেরা, পলাশ ফুলে মোড়া শান্ত, শহরের কোলাহল বিহীন জায়গা ছিল এই পলাশ তলা। মানুষ আসতে ভয় পেতেন দিনের বেলাতেও। শিল্পী সুজয় দাসের খুব প্রিয় জায়গা ছিল এটি। তখন থেকেই সুজয় দাসের ছাত্র মনে এই শ্মশানকে সাজিয়ে তৈরি করার একটি সুপ্ত ইচ্ছা বাসা বাঁধে। বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে গাছ লাগান, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করা ছাড়াও সৌন্দর্যায়নের চেষ্টা করা হয়। এরপর ২১-২২ বছর বয়সে শ্মশানের কাঁকড়, পাথরের বোল্ডার এবং সিমেন্ট এবং শব দাহ করার কিছু সরঞ্জাম ব্যবহার করে তৈরি করেন “হরিশচন্দ্র শৈব্যা”। এই ছিল শুরু, এরপর একে একে প্রায় ১০ টিরও বেশি মূর্তি তৈরি করেছেন গোটা শ্মশান জুড়ে। প্রত্যেকটি মূর্তি বলে দেয় আলাদা আলাদা একটি গল্প।

advertisement

আরও পড়ুন: ইউটিউব দেখে কাটোয়ার যুবক পেলেন দুর্দান্ত বিজনেস আইডিয়া! জীবনে এল ১৮০ ডিগ্রি মোড়, রোজগার এখন দেখে কে…

View More

বাঁকুড়ার শিল্পী সুজয় দাসের এই কাজ এখনও চলছে। তার জীবনের ৫০ বছরের পরিশ্রম চোখে পড়বেই পলাশতলা মহাশ্মশানে গেলে। হরিশচন্দ্র শৈবা, পাথরের বোল্ডারের মা-বাবা এবং পুত্র, বট বৃক্ষের মতো মাকে জড়িয়ে থাকা সন্তান, ঠাকুরমা স্বামীজি এবং কবিগুরু। প্রত্যেকটি সৃষ্টির মধ্যেই ফুটে উঠেছে বাঁকুড়ার লাল রং।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দিওয়ালির আগে সস্তায় মিলছে টেরাকোটার আইটেম! কী কী পাওয়া যাচ্ছে, কোথায় বিক্রি হচ্ছে জানুন
আরও দেখুন

কাঁকড় ব্যবহার করে মূর্তিগুলিতে আনা হয়েছে একটি রুক্ষতা, যে রুক্ষতা বাঁকুড়ার পরিচয়। বাঁকুড়ার কালজয়ী শিল্পী রামকিঙ্কর বেইজ-এর কাজের সঙ্গে সামান্য সাদৃশ্য রয়েছে সুজয় দাসের। সুজয় দাস জানান, রামকিঙ্কর বেইজ তাঁর অনুপ্রেরণা। এছাড়াও ভাস্কর রোদাঁর এক্সিবিশন থেকে অনুপ্রেরণা পান তিনি। এছাড়াও একবার শান্তিনিকেতনে গিয়েছিলেন তিনি, সেখানে এক ঝলক দেখা পেয়েছিলেন রামকিঙ্কর বেইজের। ছোটবেলার বিশেষ স্মৃতি, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা এবং প্রকৃতির সঙ্গে একাত্মবোধ। সবকিছু মিলিয়ে মিশিয়ে নস্টালজিক হয়ে পড়লেন সুজয় দাস। যদিও সেই বন্ধুগুলি এখন আর নেই আসে পাশে তবুও রয়েছে সেই স্মৃতিগুলি। এই কারণেই হয়ত নিজের শিল্পীসত্তাকে অমর করে ধরে রাখতে মহাশ্মশানটি বেছে নিয়েছেন শিল্পী সুজয় দাস। সকলের শেষ ঠিকানা এই মহাশ্মশান। আর এই শেষ ঠিকানাতে চোখে পড়তে বাধ্য সুজয় দাসের কাজ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Bankura Tourism: গা ছমছমে মহাশ্মশান আজ শিল্পীর হাতের জাদুতে পর্যটন কেন্দ্র! বাঁকুড়া ঘুরতে গেলে মিস করবেন না 'এই' কালী ক্ষেত্র
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল