মল্লা রাজাদের সময়কালে এলাকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে বিষ্ণুপুরের জল সংকট মেটানোর জন্য শহরের আশেপাশে মোট সাতটি বিশালাকৃতির জলাশয়ের বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। তবে কালের নিয়মে সেই সকল বাঁধগুলি ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় বিষ্ণুপুরের লালবাঁধ এখন রাজ্যের অন্যতম টুরিস্ট স্পট হয়ে দাঁড়িয়েছে।
advertisement
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র লালবাঁধকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধি করেছে। আর এসবের মধ্যেই এবার এই বাঁধের জন্য আলাদা পদক্ষেপ নেওয়া হল। লালবাঁধ এখন পর্যটকদের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় টুরিস্ট স্পট হয়ে দাঁড়ালেও, বাঁধের চারধারে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে রাস্তা নির্মাণ করা হলেও অভাব ছিল পর্যাপ্ত আলোর। আর এই সমস্যার কথা মাথায় রেখে এবার সরকারের তরফে সমাধান করা হল।
৪৮ লক্ষ টাকা খরচে লালবাঁধে লাগানো হল ১২০টি পথবাতি
দুর্গাপুজোর আগে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফে প্রায় ৪৮ লক্ষ টাকা খরচ করে লালবাঁধের চারদিকে ১২০টি বাতিস্তম্ভ লাগানো হল। আর এর ফলে পুজোর আগে ঝলমলে হয়ে উঠল লালবাঁধের চারদিক। রাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে দিনের বেলায় যেমন লালবাঁধের সৌন্দর্যের টানে পর্যটকরা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসছিলেন, ঠিক সেই রকমই এবার রাতের বেলাতেও আলো ঝলমলে লালবাঁধের সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসবেন পর্যটকরা। রাজ্য সরকারের এমন পদক্ষেপের প্রকল্প উদ্বোধন করেন বিষ্ণুপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী ও বিষ্ণুপুর বিধানসভার বিধায়ক তন্ময় ঘোষ।