১. সকালের খাবার না খাওয়া - সকালে অভুক্ত থাকলে এনার্জি পাওয়া যায় না। সারাদিন ঝিম ধরে থাকতে পারে মাথা, ব্যহত হতে পারে পড়াশোনা। এমনকী ওবেসিটির সমস্যায় ভুগতে পারে বাচ্চারা। প্রয়োজনে বাচ্চাদের পছন্দের খাবার বানিয়ে দিতে হবে, আবার পুষ্টির দিকেও নজর রাখতে হবে।
২. নিশাচরবৃত্তি - ভোরের স্কুলে যায় যে সব বাচ্চা তাদের তবু তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ার অভ্যেস থাকে। কিন্তু গত কয়েক বছর একটানা স্কুল বন্ধ থাকায় তা নষ্ট হয়েছে অনেকেরই। রাত জেগে টিভি দেখা, মোবাইলে গেম খেলা বা ইন্টারনেট সার্ফ করার বদ অভ্যেস তৈরি হয়েছে। এতে ঘুম নষ্ট হতে পারে শিশুর। তা থেকে দেখা দিতে পারে সারাদিনের অস্থিরতা, খিটখিটে মেজাজ, এমনকী ওবেসিটির মতো অসুখও। রাতে শুতে যাওয়ার আগেই সরিয়ে রাখতে হবে মোবাইল, ল্যাপটপের মতো গ্যাজেট। এতে ঘুম নষ্ট হয়।
advertisement
আরও পড়ুন - iPhone-এর ব্যাটারি নিঃশেষিত হচ্ছে দ্রুত? আপনার হাতেই রয়েছে সহজ উপায়
অন্যদিকে দুপুরের ঘুম এবং অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকা অভ্যাস শিশুর বৌদ্ধিক বিকাশের বাধা হতে পারে। এর পরে স্কুল খুলে গেলেও খুব সমস্যা হতে পারে।
৩. সারাদিন মোবাইলে - গত আড়াই বছরের ইন্টারনেট নির্ভর পড়াশোনার চাপে শিশুরা অনেক বেশি করে মোবাইল, ট্যাবলেট, ল্যাপটপে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। এতে শিশুদের নড়াচড়া কমে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নানা শারীরিক সমস্যা হচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম ওজন বেড়ে যাওয়া।
খুব বেশিক্ষণ নীল আলোর স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকল চোখের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যারা অনেক বেশিক্ষণ এ সব গ্যাজেট ব্যবহার করে তাদের পরবর্তী সময়ে মনোসংযোগ, ভাবনার প্রখরতা, স্মৃতি প্রভৃতির অভাব দেখা দেয়। দিনে ১ থেকে ২ ঘণ্টা করে এই সব গ্যাজেট ব্যবহার করতে দেওয়া প্রয়োজন। তার বেশি হলেই মুশকিল। বরং দিনের অনেকটা সময় শারীরিক পরিশ্রম হয় এমন কোনও খেলা, বা বই পড়া ছবি আঁকার মতো সৃজনশীল কাজে ব্যয় করা দরকার।
৪. জাঙ্ক ফুড - চটকদার খাবারে খুব সহজেই আসক্ত হয়ে পড়ে বাচ্চারা। তাতেই বিপত্তি। একগুচ্ছ রোগ এসে বাসা বাধে শরীরে। ক্রমশ ওজন বৃদ্ধি, তা থেকে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে অল্প বয়সেই। ফলে দ্রুত সন্তানকে স্বাস্থ্যকর খাবারের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা জরুরি।
আরও পড়ুন - WhatsApp Pay-তে এবার থেকে নতুন নিয়ম চালু! আর টাকা জালিয়াতির ভয় থাকবে না!
৫. অপরিচ্ছন্নতা - বাড়িতে বসে বসে সত্যিই হাঁপিয়ে উঠেছে শিশুরা। দীর্ঘদিন তারা বাইরে বেরনোর সুযোগ পায়নি। তাই ঘরের ভিতরেই চলছে সমস্ত রকম দাপাদাপি। আর তাতেই ঘর নোংরাও হয়েছে, যেমনটা হয়েই থাকে বাড়িতে বাচ্চা থাকলে। আবার এখন যা গরম পড়েছে তাতে দিনের বেলা বাড়ি থেকে বাচ্চাদের বেরোতে দেওয়াও যায় না।
ফলে খুব বেশি ঘরে থাকার কারণে সারা বাড়িতে ছড়িয়ে থাকে বাচ্চাদের খেলনা, কাগজের টুকরো প্রভৃতি। প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই দেখা যায়, সারা বাড়ির দেওয়ালে, মেঝেয় আঁকিবুকি কেটে রেখেছে বাচ্চারা। অনেক বাবা-মা মনে করেন এতে শিশুর সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ফল উল্টোও হতে পারে। তাই এখনই সাবধান হওয়া দরকার। প্রথমেই পরিচ্ছন্ন থাকার বিষয়টি শিশুকে বুঝিয়ে দেওয়া দরকার। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে খেলনা, আলমারি গুছিয়ে রাখা, দেওয়াল পরিষ্কার রাখার কথা বলা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট জিনিস নির্দিষ্ট জায়গায় রাখতে শেখানো দরকার। ঘর পরিষ্কার হয়ে গেলে অবশ্যই সন্তানের প্রশংসাও করতে হবে। তাতে ছোট্টটি আরও উৎসাহ পাবে।