মেরুদণ্ডের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে যোগাসনের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। বেঙ্গালুরুর মণিপাল হাসপাতালের স্পাইনাল সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা. এস. বিদ্যাধারা বলেন, ‘যোগব্যায়াম দীর্ঘস্থায়ী পিঠ বা ঘাড়ের ব্যথা নিরাময়ের সর্বোত্তম উপায়। এটা বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত। এতে মেরুদণ্ডের নমনীয়তা বাড়ে, মানসিক চাপও কম হয়।’
আরও পড়ুন: মঞ্চে গান শুনে কেঁদে ভাসালেন শ্রেয়া ঘোষাল, আপনি কি মেনুকার গান শুনেছেন?
advertisement
যাঁরা পিঠের ব্যথায় ভুগছেন তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ মতো যোগ ব্যায়াম করতে পারেন। তবে আরও কয়েকটি বিষয়ের উপর নজর রাখতে হবে। যেমন—
গদি নির্বাচন—
আমরা যে সমস্ত গদিতে ঘুমোই, সেগুলি মানুষের পিঠ এবং মেরুদণ্ডকে রক্ষা করে। উচ্চমানের স্ট্রেচ ম্যাট্রেস শরীরের পক্ষে ভাল। ভাল মানের গদি কখনও বসে যায় না, তার ফলে মেরুদণ্ড পিঠের নীচের অংশ থেকে ঘাড় এবং পায়ের নিচের দিকে ধীরে ধীরে প্রসারিত করে। এতে পেশির টান এবং সঙ্কোচন উপশম হতে পারে। রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। ঘাড় এবং পিঠের ব্যথা উপশম হয়।
মেরুদন্ডের ব্যধি—
অলস বসে থাকলে ব্যথা বাড়তে পারে। বৈজ্ঞানিক ভাবে এটা মনে করা হয়, যে ব্যথা হলে বিশ্রাম প্রয়োজন, কিন্তু সক্রিয়ও থাকতে হবে। নাহলে সমস্যা আরও বাড়বে। ইদানীং বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যে মেরুদণ্ডের সমস্যা বাড়ছে। তার কারণ এই অলস জীবনযাপন। ডা. বিদ্যাধারা বলেন, ‘এখন বহু শিশুর মেরুদণ্ডের সমস্যা হচ্ছে। তার কারণ খারাপ খাদ্যাভ্যাস, সূর্যালোকের অভাব এবং শারীরিক কার্যকলাপহীনতা। অনেক সময় অস্টিওপরোসিসের কারণে ওজন বৃদ্ধি পায় তা থেকে পিঠে ব্যথা হয়। সন্তান প্রসবের পর বা মেনোপজ-পরবর্তী কালে মহিলারা এমন সমস্যায় ভোগেন।’
আরও পড়ুন: অনেকেই চাল কুমড়ো চেনে না, তাই কেনেও না! এই সবজির উপকারিতা জানলে রোজ খাবেন
অল্পবয়সীদের মধ্যে পিঠের সমস্যা বাড়ছে তাদের ভুল শারীরিক ভঙ্গির কারণে। দিনের অনেকটা সময় মোবাইল বা ল্যাপটপে বন্দি থাকা, ডেস্কে বসে কাজ করা অন্যতম সমস্যার কারণ।
প্রতিকার—
ডা. বিদ্যাধারা বলেন, দিনের একটা সময় সূর্যালোক গ্রহণ করতেই হবে। খাদ্যাভ্যাসে রাখতে হবে ভিটামিন। সঙ্গে যোগাভ্যাস জরুরি। অস্টিওপরোসিস বা ক্যানসারের মতো রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করার জন্য রোগ সনাক্তকরণ জরুরি।