ফুলে থাকে নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ভিটামিন, মিনারেল। কোনও প্রসাধনী সামগ্রীতে ফুলের কিছু অংশ ব্যবহার করলে এ সবই চলে যায় তাতে। সে ধরনের প্রসাধনী মুখে মাখলে ত্বক তুলতুলে হয়। সঙ্গে চেহারায় ঔজ্জ্বল্য আসে। ফল ও ফুলের রস ত্বকে লাগলে তা চামড়ায় ভিতরে ঢুকে যায়। সেই রসের প্রভাবে রক্তচলাচল ভাল হয় বলেও মনে করেন চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে ত্বকের উপরের স্তরে জমে থাকা ময়লা সাফ হয় এই রসে।
advertisement
আরও পড়ুন- দিনে মাত্র কয়েক মিনিট অভ্যাস করুন এই যোগ মুদ্রাগুলি, শরীর থাকবে ৯০% দূষণমুক্ত!
ফল এবং ফুলে আবার একধরনের সুগন্ধী তেল থাকে। সেটাই পরাগমিলনের জন্য প্রজাপতি এবং মৌমাছিদের আকৃষ্ট করে। এই তেলই সূর্যের প্রখর তাপ থেকে ফুলকে রক্ষা করে। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল হিসাবে দুর্দান্ত। ছত্রাক এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রতিরোধে এর জুড়ি মেলা ভার। এবার এই তেলকে ভালো পারফিউম বা প্রসাধনী হিসাবে সংরক্ষণ করতে পারলে অসাধারণ উপকার মিলবে।
ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ার পাশাপাশি ফলের পিএইচ মাত্রা থাকে খুব কম। ত্বক এমন পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ জুস পছন্দ করে। কম পিএইচ স্কিন টোনকে সমান করে, রক্তের প্রবাহ বাড়ায়, ক্ষতিকারক মাইক্রোবায়ালের বৃদ্ধি রোধ করে এবং ত্বকের ছিদ্র পরিষ্কার রাখে। আদিকাল থেকেই ত্বকের যত্নে তাজা ফলের রস ব্যবহার হয়ে আসছে। আধুনিক গবেষণাতেও এর কার্যকারিতা প্রমাণিত।
প্রাচীন রাজপরিবারের কাহিনী পড়লেও হামেশাই পাওয়া যায় রানি এবং রাজকন্যাদের গোলাপজলে স্নান করার কথা। ধূপের ধোঁয়ায় চুল শুকানোর ছবি। জাফরান, গোলাপ এবং জুঁই ফুল ছিল ভারতীয় রাজকন্যাদের রূপচর্চার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।
আরও পড়ুন- ছবিতে লুকনো রয়েছে ১৩ খানা মুখ! দেখুন তো, ক'টা খুঁজে পাচ্ছেন আপনি?
ত্বকচর্চায় সবচেয়ে বেশি যে ফলের ব্যবহার হয়ে আসছে সেটা পাতিলেবু। শুধু ত্বক নয়, চুলের যত্নেও এর বহুল ব্যবহার রয়েছে। অন্য দিকে পর্তুগিজদের হাত ধরে গাঁদা ভারতে পা দেওয়ার পর থেকেই তার জীবাণুরোধী বৈশিষ্টের জন্য ব্যবহার হচ্ছে। আয়ুর্বেদে রঙ উজ্জ্বল করতে ব্যবহার হয় পদ্মের কেশর। আবার চুলের সমস্যা সমাধানের ঘরোয়া টোটকা হিসাবে প্রচলিত জবার পাপড়ি। আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এসবই এখন প্যাকেটজাত। চাইলেই হাতের কাছে পাওয়া যায়। তাই এর ভরপুর ফায়দা তোলা উচিত।