অন্তত আমাদের খাদ্যাভ্যাস যে খানিকটা দায়ী হাঁপানির জন্য তা মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। মনে করা হয়, ভিটামিন সি এবং ই, বিটা-ক্যারোটিন, ফ্ল্যাভোনয়েড, ম্যাগনেসিয়াম, সেলেনিয়াম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখলে হাঁপানি হওয়ার ঝুঁকি কম হতে পারে।
আরও পড়ুন: মঞ্চে গান শুনে কেঁদে ভাসালেন শ্রেয়া ঘোষাল, আপনি কি মেনুকার গান শুনেছেন?
advertisement
এই খাবারগুলি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ যা কোষের ক্ষতি রোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। এ ছাড়া এই সব পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খেলে হাঁপানি রোগীদের উপসর্গও কমে যায়। নিয়মিত খাদ্য তালিকায় কয়েকটি খাবার রাখলেই এই সমস্যা থেকে খানিকটা রেহাই পাওয়া যেতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে—
প্রচুর ফল এবং শাকসবজি—
ফল এবং সবুজ শাকসবজি হল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দুর্দান্ত উৎস। পশ্চিমা দেশগুলিতে কিউই, স্ট্রবেরি, টমেটো, ব্রোকলি, ক্যাপসিকাম, কমলালেবু এবং আঙ্গুরকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হিসেবে মনে করা হয়। ভারতীয় খাবারের মধ্যে, কলা, কালো আঙুর, পালংশাক খুবই ভাল। এগুলি ফুসফুসে প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। তার ফলে মানুষ সঠিক ভাবে শ্বাস নিতে পারে।
আরও পড়ুন: আপনার পিঠের ব্যথা ভুল ম্যাট্রেসের কারণে নয় তো? অবহেলা না করে মেরুদণ্ড সোজা রাখুন!
ভিটামিন ডি—
যাঁদের শরীরে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি থাকে, তাঁদের মধ্যে হাঁপানির প্রবণতা বেশি থাকে। তাই নিয়মিত খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার রাখা খুবই প্রয়োজন। পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি শরীরকে দিতে, নিয়মিত খাদ্যতালিকায় দুধ, ডিম এবং মাছ রাখা দরকার।
বাদাম এবং বীজযুক্ত ফল—
বাদাম এবং অন্য বীজ স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। ওজন কমানো হোক বা হাঁপানি প্রতিরোধ, ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ এই খাবারগুলি জাদুর মতো কাজ করতে পারে। ভিটামিন ই-এর টোকোফেরল নামক রাসায়নিক যৌগ হাঁপানি রোগীদের কাশি কমাতে সাহায্য করে।
সালফাইট-এ না—
সালফাইট হাঁপানির লক্ষণ বাড়াতে পারে। ওয়াইন, শুকনো ফল, আচার এবং চিংড়ি মাছে সালফাইট থাকতে পারে। এগুলি কম খাওয়াই ভাল।
অ্যালার্জি থেকে সাবধান—
অনেক মানুষের বিভিন্ন ধরনের খাবারে অ্যালার্জি থাকে। তার ফলে হাঁচি, কাশির মতো সমস্যা দেখা দেয়। তারপর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।