অভিজ্ঞ চিকিৎসক অর্ণব নিয়োগী জানান, “সামান্য সর্দির সমস্যা থেকে পরবর্তীকালে অ্যাজমার আকার ধারণ করতে পারে। যাঁদের ঠান্ডা লাগার ধাত রয়েছে তাঁরা সতর্ক থাকুন। ফুসফুস এবং শ্বাসনালীতে সংক্রমণের পাশাপাশি অ্যাজমার সমস্যাও দেখা দিতে পারে নিমেষে। বিভিন্ন ধরনের অ্যালার্জি, মূলত জ্বর, সর্দি-কাশি এসবের ফলে আচমকাই শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। হঠাৎ মনে হতে পারে আপনি যেন শ্বাস নিতে পারছেন না। এই সমস্যাই ক্রমশ অ্যাজমার আকার নেবে। অনেক সময় অনেক ওষুধের সাইড এফেক্ট বা পার্শ্বপ্রক্রিয়াতেও অ্যাজমার শ্বাসকষ্ট হতে পারে। অ্যাসিডিটি বা বদহজমের সমস্যা থেকেও শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দেয় অনেকের শরীরে। তাই অ্যাজমা রোগীরা বা যাঁদের শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তাঁদের ক্ষেত্রে বেশি তেলমশলা যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল।”
advertisement
আরও পড়ুন : রোজ ১২ কেজি ফল, ১২০ কেজি পশুখাদ্য! দেশের ‘সবথেকে রোগা হাতি’ থেকে ওভারওয়েট হওয়ার পথে লক্ষ্মী
তিনি আরও জানান, “অ্যাজমা রোগীদের ক্ষেত্রে ট্রিগারের কারণ হতে পারে অবসাদ। ধুলো এবং ধোঁয়া থেকে মারাত্মক ভাবে বাড়তে পারে অ্যাজমা। এর ফলে শ্বাসযন্ত্রে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ঘুমের মধ্যে দমবন্ধ ভাব অনুভব করতে পারে রোগী। হঠাৎই মনে হতে পারে যেন আর শ্বাস নিতে পারছেন না অ্যাজমার আক্রান্ত রোগী। অ্যাজমা থেকে বিভিন্ন ইনফেকশন বা সংক্রমণ হতে পারে ফুসফুসে। এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অ্যাজমা হলে কষ্ট সবচেয়ে বেশি।” যদি এই রোগের কোনও উপসর্গ বা সমস্যা লক্ষ করেন, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা শুরু করুন। তাহলেই খুব দ্রুত এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারবেন।