ফলস আইল্যাশ
ন্যাচারাল আইল্যাশ ঘন না হলে কুছ পরোয়া নেই। আর্টিফিসিয়াল আইল্যাশ আমাদের চোখে একেবারেই ন্যাচারাল ফিনিশিং দেয়। তবে ফলস আইল্যাশ কেনার আগে একটু দেখেশুনে কেনা ভালো, ফলস আইল্যাশের পাতাগুলো যেন অধিক ঘন না হয়। এটি চোখের পাতায় পরার পর একদম ন্যাচারাল লুক আসবে।
কিন্তু অনেকেরই আর্টিফিসিয়াল আইল্যাশে নানা ধরনের অ্যালার্জির সমস্যা হয়। কারও আবার চুলকানির সমস্যাও হয়। সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া উপায়ে আইল্যাশের ঘনত্ব বাড়ানোর উপায়ও রয়েছে।
advertisement
ক্যাস্টর অয়েল
ক্যাস্টার অয়েল আইল্যাশের ঘনত্ব বাড়াতে দারুণ কার্যকরী। রাতে শুতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল দিয়ে আইল্যাশ মাসাজ করে নিতে হবে। বেশ কয়েক সপ্তাহ পর থেকে হাতেনাতে ফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: Hair Care Tips: এই মরসুমে চুলের রুক্ষতা বাড়বে বই কমবে না; শীতে চুলের যত্ন নেবেন কী ভাবে?
ভিটামিন E ক্যাপসুল
ভিটামিন E-কে হেয়ার গ্রোথের রাজা বলা হয়। একটি ভিটামিন E ক্যাপসুল নিয়ে রাতে শুতে যাওয়ার আগে আইল্যাশে ভালো ভাবে মাসাজ করে নিতে হবে। দ্রুত পরিবর্তন নজরে আসবে।
নারকেল তেল
নিজের আইল্যাশকে রয়্যাল ট্রিটমেন্ট দিতে চাইলে নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে কয়েক ফোঁটা নারকেল হাতে নিয়ে ভালো করে ঘষে আইল্যাশে লাগাতে হবে। কয়েক মাস রোজ এই রুটিন ফলো করতে পারলেই ম্যাজিক ধরা পড়বে।
আরও পড়ুন: Recipe: গ্যাসের দাম তো বেড়েই চলেছে! বিনা গ্যাসেই বানিয়ে ফেলুন স্বাস্থ্য এই রেসিপিগুলো!
আমন্ড অয়েল
আমন্ড অয়েলও আইল্যাশ ট্রিটমেন্টের জন্য দারুণ কার্যকরী। তবে আমন্ড অয়েল চোখে গেলে জ্বলুনি হতে পারে। তাই আইল্যাশে লাগানোর কয়েক মিনিট পর হালকা গরম জলে চোখ ধুয়ে নিতে হবে।
পেট্রোলিয়াম জেলি
আইলিডসের চারপাশ শুকনো হয়ে গেলে পেট্রোলিয়াম জেলি খুব ভালো কাজে দেয়। অনেক সময় ড্রাই আইলিডসের কারণেও আইল্যাশ ঝরে পড়তে পারে।
অলিভ অয়েল
অলিভ অয়েলও আইল্যাশের ট্রিটমেন্টে সমান কার্যকরী। আঙুলে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মাখিয়ে আইল্যাশ এবং আইলিডসে মাসাজ করতে হবে ৫ মিনিট মতো। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই ট্রিটমেন্ট দারুণ কাজে দেবে।
ব্যস! এই কয়েকটি সহজ ট্রিটমেন্ট আমাদের আইল্যাশের রুক্ষ্মতা, ঝরে পড়া এবং গ্রোথে দারুণ কাজ দেবে!