ডায়াবেটিস একটি ক্রনিক ডিজিজ। যা অজান্তেই আমাদের কিডনি, হার্ট, চোখ-সহ একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকল করতে পারে। ফলে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা অত্যন্ত জরুরি। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে ওষুধের পাশাপাশি খাদ্যাভাসের দিকে নজর দিকে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে বেশ কয়েকটি খাবার, যা শরীরের ক্ষতি তো করেই, সেই সঙ্গে বাড়িয়ে দিতে পারে ব্লাড সুগার লেভেল।
আরও পড়ুন: রাতে ভাল ঘুম হচ্ছে না? নিয়মিত হলুদ দেওয়া দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান 'এই' জিনিষটি...
advertisement
ঠাণ্ডা পানীয় দূরে রাখা:
ডায়াবেটিস থাকলে প্রথমেই এড়িয়ে চলতে হবে ঠাণ্ডা পানীয়। মিষ্টি ঠাণ্ডা পানীয় অর্থাৎ কোল্ড ড্রিংকসে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইট্রেড ও সুগার থাকে যা ব্লাড সুগার লেভেল অনায়াসেই বাড়িয়ে দিতে পারে। পাশাপাশি এতে থাকা ফ্রুকটোজের সঙ্গে ইনসুলিনের লিঙ্ক রয়েছে। এই ইনসুলিন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে।
ট্রান্স ফ্যাট জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা:
আর্টিফিসিয়াল ট্রান্স ফ্যাটস এমনিতেই শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিডে হাইড্রোজেন মিশিয়ে একে অনেক বেশি স্টেবল করা হয় যার ক্ষতিকারক প্রভাব রয়েছে। এই ধরনের ফ্যাট মার্গারিন, পিনাট বাটার, বিভিন্ন স্প্রেডস এবং ফ্রোজেন খাবারে পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: শীত পড়লেই রাতে দুঃস্বপ্ন আসে? তালিকায় আপনি একা নেই, জানুন নিষ্কৃতির উপায়...
পাঁউরুটি, পাস্তা, ভাত ইত্যাদি:
পাঁউরুটি বিশেষ করে সাদা পাঁউরুটি, পাস্তা, সাদা ভাতে প্রচুর পরিমাণে রিফাইনড কার্বোহাইট্রেড থাকে যা টাইপ ১ (Type 1 Diabetes) ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস (Type 2 Diabetes) বাড়িয়ে দিতে পারে।
সিরিয়ালস বা খাদ্যশস্য:
অনেকেই এই ধরনের খাদ্যশস্য দিয়ে দিন শুরু করেন অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট সারেন। অন্যান্যদের জন্য এই খাবার স্বাস্থ্যকর হলেও ডায়াবেটিকদের জন্য একেবারেই নয়। কারণ এতেও প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইট্রেড থাকে।
প্যাকেট জাতীয় খাবার:
বেশিরভাগ প্যাকেট জাতীয় খাবারই ময়দা দিয়ে তৈরি হয় এবং তাতে পুষ্টিগুণ খুবই কম থাকে। তাই বিস্কুট বা এই ধরনের খাবারের চেয়ে সবজি খাওয়া অনেক ভালো। এতে কার্বোহাইট্রেডও কম থাকে। ফলে তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে শরীরও ভালো রাখে।
খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনা, ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। যোগাসন অভ্যাস করা প্রয়োজন।