মন্দিরের পুরোহিত বৈকুণ্ঠনাথ তিওয়ারি জানান, ‘‘শুধু নবদ্বীপ থেকে আসা পন্ডিত ও ব্রাহ্মণেরা এই মন্দির স্থাপনায় অংশ নিয়েছিলেন। তখনই এই মন্দিরের নাম রাখা হয় অনাথনাথ শিব মন্দির। বর্তমান সময়ে এই মন্দিরের বয়স ঠিক কত, তা কেউ বলতে পারবেন না। অনুমান করা হয় এই মন্দির রাজ আমলেরও পুরনো মন্দির। দীর্ঘ সময়ের পুরনো এই মন্দিরে রীতি মেনে পুজো করা হয় সকল দেবতাদের। তবে মূলত শিব মন্দির হওয়ার কারণে ভগবান শিবের পুজোর নিয়ম রয়েছে বেশি। প্রতিদিন নিত্যপুজোর পাশাপাশি বছরের বিশেষ সময়গুলিতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়।’’
advertisement
তিনি আরও জানান, ‘‘এই মন্দিরে একাধিক শিবলিঙ্গের পুজো করা হয়ে থাকে। রাজ আমল থেকেই এই সংকল্প মানা হচ্ছে। তবে এর সঠিক কী কারণ রয়েছে সেটা প্রত্যেকের অজানা। বর্তমান সময়ে এই মন্দিরে বছরের বিভিন্ন সময়ে বহু ভক্তবৃন্দের সমাগম ঘটে।’’ এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বণিক জানান, ‘‘দীর্ঘ সময়ের রাজ আমলের পুরনো এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষদের আবেগ রয়েছে অনেকটাই। বর্তমানে এই শিব মন্দির সঠিক কথাটা সময় আগে স্থাপন করা হয়েছিল তা বলা এক প্রকার অসম্ভব বিষয়।’’
আরও পড়ুন : কৌশিকী অমাবস্যার সন্ধ্যায় করুন এই ছোট্ট কাজ! দুঃসময় কাটিয়ে অর্থ, সুখ-সমৃদ্ধি ফিরবে জীবনে
সামনেই আসন্ন পুজোর ছুটি। যাঁরা প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন গুলি ঘুরে দেখতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য সেরা ঠিকানা হতে পারে এই বিশেষ শিবমন্দির। তাই পুজোর ছুটিতে চাইলে ঘুরতে আসতেই পারেন এই অনাথনাথ শিব মন্দিরে। মন্দিরের চারপাশের পরিবেশ যে কোনও মানুষের মন সহজেই মুগ্ধ করে তুলতে পারে। তাই তো বহু মানুষ বার বার ছুটে আসেন এই মন্দিরে।