রসের যোগানের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি। তাই চিনির ওপর ভরসা করে তৈরি হচ্ছে গুড়। বাজারে খেজুর গুড়ের গন্ধ ,আখের গুড়ের গন্ধ ,নলেন গুড়ের গন্ধ ও রং সবই পাওয়া যায়। তাই চাহিদা মেটাতে এক প্রকারের অসাধু ব্যবসায়ীরা রং এবং গন্ধ মিশিয়ে তৈরি করছে ভেজাল গুড়। যা খেলে মানুষের মুখের স্বাদ মেটে, কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয় অনেকটাই।
advertisement
আরও পড়ুন- বিয়ের পরই চোখে জল ‘নববধূ’ সন্দীপ্তার! কারণটা কী? শুনলে আঁতকে উঠবেন
খেজুর রসের গুড় থেকে পাটালি তৈরি করলে সেটা অনেকটাই নরম থাকে।যদি চিনির রস ফুঁটিয়ে রং গন্ধ মিশিয়ে অন্য কিছু ব্যবহার করে পাটালি তৈরি করা হয় ,সেক্ষেত্রে পাটালি বেশ শক্ত হয়।খাবারে রং মেশানো নিয়ে খাদ্য গুণমান নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নানাভাবে বারণ করা সত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত ভেজাল তৈরি হচ্ছে। দেখবেন বাজারে নলেন গুড় দু- তিন ধরনের দামে বিক্রি হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নলেন গুড় দু-তিন ধরনের হতে যাবে কেন? এ বিষয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন,’ গুড়ের চাহিদার তুলনায় রস সংগ্রহ অনেক কমেছে। সেই জায়গায় মাঝে মাঝে খবর পাওয়া যায় চিনির রসের সঙ্গে রং, গন্ধ মিশিয়ে পাটালি তৈরি হচ্ছে। এমনিতেই কৃত্রিম রাসায়নিক রং ও গন্ধ মেশালে তা থেকে মানুষের শরীরে জটিল রোগ সৃষ্টি হতে পারে। সব থেকে বড় কথা ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাই কৃত্রিম রং, গন্ধ ব্যবহার না করাই ভাল।’