অন্যদিকে, এই উদযাপনকে ঘিরেই বঙ্গে বাঙালি অস্মিতায় শান দিতে চাইছে বঙ্গ বিজেপি৷ শুক্রবার বিষয়টি সামনে রেখে উত্তর কলকাতার ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি থেকে কলেজস্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল করেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ শুরু হয় মিছিল৷ পথে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে কয়েক জন কংগ্রেস সমর্থক তাঁকে পতাকা দেখান। তা নিয়ে সামান্য উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হলেও নিজের গন্তব্যের দিকে এগোতে থাকেন শুভেন্দু।
advertisement
এদিন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মূর্তিতে মাল্যদান করার কথা ছিল শুভেন্দুর। কিন্তু যে রাস্তা দিয়ে তাঁর যাওয়ার কথা, অভিযোগ, সেই রাস্তার অত্যন্ত বেহাল পরিস্থিতি। একেবারেই এবড়ো খেবড়ো। শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, ‘‘তিনি আসবেন বলেই ইচ্ছাকৃত ও পরিকল্পিতভাবে রাস্তা খুঁড়ে দেওয়া হয়েছে।’’
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘যেই শুনেছে আমি আসব, ইচ্ছা করে কালকে রাস্তা খুঁড়ে দিয়েছে।’’ অভিযোগ, এরপরে এবড়ো খেবড়ো রাস্তা পেরিয়েই বঙ্কিমচন্দ্র স্মৃতি গ্রন্থাগারে এসে পৌঁছন তিনি। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পথে তাঁকে বেগ পেতে হয়। গ্রন্থাগারের গেটও সেই সময় বন্ধ করে ছিল বলে অভিযোগ। শুভেন্দু বলেন, ‘‘বাঙালি দেখুন সাহিত্য সম্রাট ঋষি বঙ্কিমচন্দ্রের প্রতি কতটা অপমান। ফাঁকা বুদ্ধিজীবীদের দেখান এই রাস্তা।’’
এই অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘যাঁরা বন্দে মাতরম স্লোগানটার মর্ম বোঝেন না। যাঁদের স্বাধীনতা আন্দোলনে কোনও ভূমিকা নেই। যাঁরা বাংলাকে অপমান করেন, যাঁরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করেন, যাঁরা জনগণমনকে অপমান করেন, তাঁরা আজকে নাটক করছেন। তাঁদের বন্দে মাতরম বলার কোনও নৈতিক অধিকারই নেই।’’
তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘‘উন্নয়নের জন্য রাস্তা খুঁড়তে হয়। কবে শুভেন্দু অধিকারী আসবেন, উন্নয়ন বন্ধ থাকবে, রাস্তার কাজ বন্ধ থাকবে, এরকম অন্যায় আবদার তো কেউ শোনেননি।’’
