পরিবহন দ সূত্রে খবর লন্ডন ও সিঙ্গাপুরে সিটি ট্যুরের ক্ষেত্রে ভ্রমণকারীদের জন্য যে টিকিট-ব্যবস্থা রয়েছে, তারই আদলে চালু হচ্ছে এই পাস। এই পাসের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সিটি ট্রাভেল পাস’। এই বিশেষ পাসের দাম ১০০ টাকা। তবে কেউ যদি এক সঙ্গে ২০টা বা তার বেশি পাস কেনেন, সে ক্ষেত্রে টিকিটের দামে ১০% ছাড় পাওয়া যাবে।এই পাস থাকলে রাজ্য পরিবহন নিগম বা WBTC'র যে কোনও বাসে চড়া যাবে। এসি, নন এসি বাসে উঠলে আর টিকিট কাটতে হবে না। চড়া যাবে ভেসেলে। এছাড়া সমস্ত ধরণের ট্রামেও চড়া যাবে। বিশেষ সুবিধা হলো, Tram World এ প্রবেশ করার জন্যে কোনও মূল্য লাগবে না। এছাড়া বিশেষ ট্রাম পাটরাণি'তেও ওঠা যাবে। যার জন্যে আলাদা করে কোনও টিকিট কাটতে হবে না।
advertisement
ডব্লিউবিটিসি-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ভ্রমণকারীদের সুবিধার জন্য বিভিন্ন রুটের খুঁটিনাটি তথ্য দিয়ে গাইড ম্যাপও তৈরি করা হচ্ছে।”যাঁরা কলকাতায় ভ্রমণে আসেন বা যাঁদের এই শহরে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের পরিবহন ব্যবহার করতে হয়, তাঁদের কথা মাথায় রেখেই এই পাস চালু করা হচ্ছে বলে ওই আধিকারিক জানান।তিনি বলেন, “এই পাস নিয়ে আপনি সিটি অফ জয়-এ যেমন খুশি ভ্রমণ করতে পারেন। একটি পাস কিনে হাওড়া থেকে ফেরি ধরুন। নদী পেরিয়ে মিলেনিয়াম পার্কে আসুন। এখান থেকে বাস বা ট্রাম ধরে চলে যান এসপ্ল্যানেড। সেখান থেকে কলেজ স্ট্রিটে ঐতিহ্যশালী বইয়ের বাজারে চলে যান।”ডব্লিউবিটিসি ১০০ টাকায় ‘ট্রাম পাস’ও চালু করছে। এই পাস নিয়ে মহানগরে ট্রামে চড়ার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন ভ্রমণকারীরা।
ডব্লিউবিটিসি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর রজনবীর সিং কপুর বলেন, “শহরের নিয়মিত যাত্রী ও পর্যটকদের সুবিধার জন্যই এই ‘সিটি ট্রাভেল পাস’ চালু করা হচ্ছে।এর বড়ো সুবিধা হল একই দিনে ট্রাম, বাস বা ফেরিতে চড়ার জন্য বার বার টিকিট কাটার ঝক্কি পোহাতে হবে না”। বাস, ট্রামের কন্ডাক্টরদের কাছ থেকে এবং ফেরির টিকিট কাউন্টার থেকে এই পাস কেনা যাবে। বিমানবন্দর, হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনেও এই পাস কেনা যাবে। ডব্লিউবিটিসি-র ওয়েবসাইট থেকেও এই পাস বুক করা যাবে।তবে নিত্যযাত্রীরা জানাচ্ছেন যারা পর্যটক তাদের জন্যে এই পাস ভীষণ সুবিধা দেবে। কিন্তু যারা প্রতিদিন যাতায়াত করেন তাদের ১০০ টাকা ভাড়া বাসে বা ট্রামে সবসময় লাগে না। তাই তাদের খুব একটা প্রয়োজন হবে না। দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বব্যাঙ্কের সহায়তায় এই বিশেষ পাস চালু করতে আগ্রহ দেখিয়েছিল রাজ্য। পরিকল্পনা ছিল, বাস-ট্রাম-ফেরি-মেট্রো-লোকাল ট্রেন সব একই পাসে যাতায়াত করার ব্যবস্থা। যদিও তা চালু করা যায়নি এতদিনেও৷ তবে আপাতত WBTC তাদের সমস্ত পরিবহণ মাধ্যমকে একই সুতোয় জুড়ল এই বিশেষ পাসের মাধ্যমে।