মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রক ‘যাত্রী সাথী’ প্রকল্পকে ‘সেরা নগর পরিবহণ প্রকল্প’-এর স্বীকৃতি দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই অ্যাপের সঙ্গে যুক্ত চালকের সংখ্যা বর্তমানে ১.৩ লাখ এবং এই অ্যাপ ব্যবহার করেন ৪৫ লাখ যাত্রী। অ্যাপের মাধ্যমে ক্যাব বুক করলে বার বার মোবাইলের পর্দায় চোখ রেখে চালকের আসার অপেক্ষায় তাকিয়ে থাকতে হয় না। চালক নির্দিষ্ট ‘পিক আপ লোকেশনে’ পৌঁছোলে যাত্রীর মোবাইলে হর্নের ধাঁচে অ্যালার্ট বাজতে থাকে। কমিশন বা ‘সার্জ প্রাইসিং’ না থাকায় ওই অ্যাপে ভাড়ার হার তুলনামূলক বিচারে কিছুটা কম বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা।
advertisement
আরও পড়ুন : “বাংলা আজ যা ভাবছে, বাকিরা আগামিকাল ভাববে”, ‘যাত্রীসাথী’ পুরস্কৃত হতেই উচ্ছ্বসিত পোস্ট মুখ্যমন্ত্রীর
মহিলা যাত্রীদের নিরাপত্তা বাড়াতে রাত ৯ থেকে সকাল ৬ টার মধ্যে ওই অ্যাপে একাধিক বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে। মহিলা যাত্রীরা অ্যাপের মাধ্যমে সর্বাধিক দু’জন ব্যক্তির নম্বর যুক্ত করে রাখতে পারেন। সফরের সময়ে পথের হদিশ ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে সরাসরি পৌঁছে যাবে। পাশাপাশি, চালক ইচ্ছাকৃত ভাবে ভুল পথে গেলে অথবা রাস্তায় অকারণে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলে অ্যাপের হেল্পলাইন থেকে সরাসরি চালকের কাছে ফোন যাওয়ার সুবিধা রয়েছে ওই অ্যাপে। সুরক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সরাসরি অ্যাপের হেল্পলাইনে ফোন করে সাহায্য চাওয়ার সুযোগও রয়েছে। সফরের সময়ে যাত্রীরা ক্যাবে প্রয়োজনীয় জিনিস ভুল করে ফেলে এলে খোলা রয়েছে তা নিয়ে অভিযোগ জানানোর পথও।আপাতত ক্যাবের সংখ্যা ধাপে ধাপে বাড়ানো হচ্ছে। ক্যাব বুকিং সহজ করতে আরও পরিকল্পনা নিচ্ছে রাজ্য সরকার।
