সামাজিক মাধ্যমের বিভিন্ন মঞ্চে ছড়িয়ে পড়েছে তাঁর হাসিমুখের ছবি৷ সেখানে দেখা যাচ্ছে, জরিদার শাড়ি, গয়না মিলিয়ে বিয়েবাড়ির সাজে তিনি রানাঘাট স্টেশনে বিয়ের ভোজ পরিবেশন করছেন৷ নেটিজেনদের বাহবা ও শুভেচ্ছায় অভিনন্দিত হয়েছেন পাপিয়া৷ তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছেন সকলে৷ নেটিজেনরা জানিয়েছেন, পাপিয়া বরাবরই রান্না করে তুলে ধরেন অনাহারীদের মুখে৷ শুধু বিয়েবাড়ির বাড়তি খাবার বলেই নয়৷ এই তরুণী নিয়মিত অন্নহীনদের খাবার পরিবেশন করেন৷ নানা ধরনের সমাজসেবামূলক কাজে তিনি জড়িত৷ সে সাক্ষ্য দিচ্ছে সামাজিক মাধ্যমে তাঁর প্রোফাইল-ও৷ এই ধূসর বিষাদময় সময়ে তাঁর ভাবমূর্তি অমলিন৷
advertisement
আরও পড়ুন : সামর্থ্য সত্ত্বেও বর্জন সোনার গয়না, নিজের ব্যয়ে বিয়ে করলেন বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে
আরও পড়ুন : 'সেই বর্ষণমুখর রাত', কবিগুরু তর্পণে মদন মিত্র, শুনে নিন তাঁর রবীন্দ্রসঙ্গীত
কিছু দিন আগে ধরা পড়েছিল এরকমই এক মানবিক ঘটনা৷ সেখানে উঠে এসেছিল ১০ বছর বয়সি লায়লার কথা৷ নিজের পায়ের চিকিৎসার জন্য সে কুকি বিক্রি করত৷ তার কাছে অত্যাশ্চর্যভবে পৌঁছ যায় এক ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীর সাহায্য৷
আরও পড়ুন : আর অপেক্ষা নয়, কবে থেকে জাঁকিয়ে শীত পড়বে বঙ্গে? জানাল আবহাওয়া দফতর
আমাদের দেশেও সমাজের প্রতি কোণে অতিমারির বিরুদ্ধে যুদ্ধে উঠে এসেছে একগুচ্ছ মানবিক মুখ৷ সেলেব্রিটি থেকে সাধারণ মানুষ, পাশে দাঁড়িয়েছেন আর্তদের৷ খাবার, ওষুধ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়েছে পীড়িতদের হাতে৷ করোনা ভাইরাসের অতিমারির ছায়া এখনও সম্পূর্ণ মিলিয়ে যায়নি, স্তিমিত হয়েছে মাত্র৷ তার মধ্যেই শোনা যাচ্ছে নিত্যনতুন ভ্যারিয়্যান্টের কথা৷ এখন বিয়েবাড়িতে অতিথি নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়েছে৷ ফলে ভোজের খাবারের পরিমাণও বেশি হচ্ছে৷ সেই খাবার অপচয় না করে ক্ষুধার্তদের হাতে তুলে দিয়ে নেটিজেনদের মন জয় করেছেন পাপিয়া৷