মঙ্গলবার রাত পৌনে দশটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বরানগর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের টি এন চট্টোপাধ্য়ায় রোডে। বিস্ফোরণের জেরে বাড়ির ছাদ ভেঙে ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়েন বাড়ির একমাত্র বাসিন্দা সুমিত্রা মাইতি নামে ৫০ বছর বয়সি এক মহিলা। ঘটনার প্রায় তিন ঘণ্টা পরে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে সুমিত্রাদেবীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর কর্মীরা। সুমিত্রাদেবী বাড়িতে একাই থাকতেন বলে খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: হাইড রোডে জামাকাপড়ের পরিত্যক্ত গুদামে ভয়াবহ আগুন, ঘটনাস্থলে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন
ঘটনার জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাত পৌনে দশটা নাগাদ হঠাৎই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। আশেপাশের বেশ কয়েকটি বাড়ির জানলার কাচও ভেঙে যায়।
বিস্ফোরণের পর দেখা যায়, সুমিত্রাদেবীর বাড়ি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। অলোকা সাহা নামে সুমিত্রাদেবীর এক প্রতিবেশী জানান, তাঁদের বাড়ির বাথরুমের দরজাও বিস্ফোরণের তীব্রতায় ভেঙে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: দুয়ারে রেশন প্রকল্পে দেওয়া হচ্ছে প্লাস্টিক চাল! রেশন দেওয়া বন্ধ করলেন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা
এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, গ্য়াস বিস্ফোরণের জেরেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে আগুনের কোনও চিহ্ন ছিল না। বরং গ্য়াসের কটূ গন্ধ প্রতিবেশীদের নাকে এসেছে বলেও দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। স্থানীয় কয়েকজনের আরও দাবি, ঘটনার কিছুক্ষণ আগে সুমিত্রাদেবী বাজার করে এনে রান্না বসিয়েছিলেন।
ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় আসে বরানগর থানার পুলিশ। পৌঁছয় দমকল বাহিনী। সুমিত্রাদেবী ধ্বংসস্তূপের নীচে এমন ভাবে চাপা পড়েছিলেন যে দেহ উদ্ধার করতেই প্রায় তিন ঘণ্টা সময় চলে যায়। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করতে পাঠিয়েছে পুলিস। আজ ঘটনাস্থলে যেতে পারে ফরেন্সিক দল। মৃতার পরিবারের অন্য় কোনও সদস্য় অথবা আত্মীয় আছেন কি না, তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
সহ প্রতিবেদন: কল্য়াণ মণ্ডল