তন্ময়ের ঘরওয়াপাসি নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই ফুঁসছে বিজেপি। কারণ দুশো আসনের লক্ষ্যে দৌড় শুরু করে যে গুটিকতক অঞ্চলে বিজেপির দাগ কাটতে পেরেছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর। তন্ময়ের সম্ভাবনা বুঝতে পেরে দলে যোগ দেওয়ার পরের দিনই তাঁকে টিকিট দিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। সেই তন্ময় সোমবার ফের ঘাসফুল শিবিরের পতাকা তুলে নিলেন ব্রাত্য বসুর হাত থেকে। বিষয়টা বিজেপিতে ভালোভাবে নিচ্ছে না তা প্রমাণ করছে শুভেন্দু অধিকারীর বডি ল্যাঙ্গুয়েজ। শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট বলছেন, উপনির্বাচনে দাঁড়ালে বিজেপি অফিসে যিনি চা দেন, তাঁর কাছে এক ভোটে হলেও হারবেন তন্ময়। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, নীচুতলার মনোবল যাতে না ভেঙে যায়, তাই জন্যই শুভেন্দুর এই ধরনের চড়া বুলি।
advertisement
জিতেও কেন বিজেপির ছাড়লেন তন্ময়? প্রশ্নটা শুনে তরুণ বিধায়ক তন্ময় সোমবার বলেন, বিজেপিতে গিয়েছিলাম উন্নয়নের আশায়। কিন্তু বিজেপি প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি করছে। জোর করে বাংলা দখল করতে চাইছে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রসঙ্গত মুকুল রায় দল ছাড়তেই শুভেন্দু দলত্যাগ বিরোধী আইন হাতিয়ার করে আসলে নামেন। তন্ময়ের ক্ষেত্রেও শুভেন্দুর অস্ত্র একই। রাখঢাক না রেখেই আগামী দিনের লড়াইয়ে ইঙ্গিত দিয়ে শুভেন্দু বলছেন, দলত্যাগ বিরোধী আইনে তন্ময়কে বিধায়ক পদ বাতিল করতে হবে অবিলম্বে।
প্রতিহিংসা তত্ত্বকে আমল দিতে নারাজ রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর যুক্তি, ক্রমাগত পুলিশি চাপের মুখে তন্ময় দল ছাড়লেন।
তবে প্রশ্ন রয়েছে অন্যত্র। ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন তন্ময়। এখন তারেই ফিরে আসা কতটা খোলা মনে গ্রহণ করবে এলাকার সাধারণ মানুষ, সমর্থকরা ?তন্ময়কে ফিরিয়ে নিয়ে কি দল ওয়েটিং লিস্টে জায়গা পাওয়ার জন্য হত্যে দিয়ে থাকা নেতাদেরও কোনও বার্তা দিল, এই প্রশ্নটাও ভাসছে বাতাসে। তবে তৃণমূল ঘনিষ্ঠমহল মনে করছে তন্ময় এসেছেন বলেই বাকিদের জন্য দরজা হাটখোলা এমনটা নয়। বলা চলে, নরমপন্থীদের জন্য কিছুটা জায়গা রেখেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
