শিয়ালদহ ডিভিশন এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম টার্মিনাল। সেখানে এই দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ায় রেলের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। এই অঞ্চলটি আরআরআই বা রুট রিলে ইন্টারলকিং সিগন্যাল ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত। মোটরম্যান নিজে থেকে ভুল না করলে এই দুর্ঘটনা ঘটত না।
আরও পড়ুন: অধিকারীদের 'শান্তিকুঞ্জে' হাইকোর্টের 'সুরক্ষা বর্ম'! কাঁথিতে অভিষেকের সভা নিয়ে 'বড়' নির্দেশ আদালতের!
advertisement
এই তাড়াহুড়োর প্রবণতা নিয়েই চিন্তিত রেল। তাই মোটরম্যান বা গার্ডদের বলা হচ্ছে, তাড়াহুড়ো করার আগে ভাবুন, যাত্রী সুরক্ষার কথা। যাত্রীদের নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব মোটরম্যানদের। তাঁদের ভুল ত্রুটি হলে বড়সড় দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। ইতিমধ্যেই তদন্তকারী আধিকারিকেরা দুর্ঘটনাস্থল পরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষা করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত রেক। এমনকি কারশেডে গিয়ে রেক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের সঙ্গে কথাও বলেছেন। আপাতত রেক নিয়ে কোনও ত্রুটি ধরা পড়েনি তাঁদের কাছে৷ তাঁদের অবাক করেছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত রেকের শান্টিং মোটরম্যানের ভূমিকা।
রেলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এই মোটরম্যান যথেষ্ট অভিজ্ঞ ছিলেন। এর আগে কখনও কোন সমস্যা তাঁর কাজে ধরা পড়েনি। তাই তিনি কী করে সিগন্যাল ও ফাউলিং মার্ক একসঙ্গেই নজর এড়ালেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। দুটি লাইন যেখানে একসঙ্গে এসে মিশেছে তার আগেই নির্ধারিত দূরত্বে রয়েছে ফাউলিং মার্ক। সাদা স্ল্যাব দিয়ে একেবারে ফ্লুরোসেন্ট কালারে পেন্ট করা থাকে। যা দিন ও রাতে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। শান্টিং সিগন্যাল উপেক্ষা করলেও, এই ফাউলিং মার্ক উপেক্ষা করা চালকের অনুচিত৷
আরও পড়ুন: বেসরকারি ল’কলেজ অনুমোদন, পার্থর কাছে মানিকের সুপারিশ বলছে ইডি
শিয়ালদহের ৬ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি ফাঁকা ট্রেন ঢুকছিল কারশেডে। সেই সময় রানাঘাট লোকাল ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে বেরোচ্ছিল। মাঝে শিয়ালদহ ডিআরএম অফিস পেরলে খালি রেকটি রানাঘাট লোকালকে পাশ থেকে ধাক্কা দেয়। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, অত্যন্ত তাড়াহুড়ো করতে চেয়েছিলেন শান্টিং মোটরম্যান। আর তার জেরেই এই দুর্ঘটনা।