তিনি জানিয়েছেন, “চাকরিহারাদের সংকটজনক মুহূর্তে বিকল্পপথ খোঁজার চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। চাকরিহারাদের সঙ্গে মিলিত হবেন তিনি। দয়া করে মুখ্যমন্ত্রী কী বার্তা দিচ্ছেন, তা শুনুন। আমাদের কাছে একাধিক সূত্রে খবর আসছে, সভায় বিরোধী দলের একাংশের মদতে পরিকল্পিতভাবে প্ররোচনা দিয়ে গণ্ডগোল সৃষ্টির চেষ্টা করা হতে পারে।”
আরও পড়ুন– সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস দক্ষিণবঙ্গে, উত্তরবঙ্গেও হবে বৃষ্টি, তবে গরম কি কমবে?
advertisement
তাঁর আরও সংযোজন, যে বিরোধী দলগুলি চাকরি খাওয়ার রাজনীতি করে, তাঁরা চায় না বিকল্প পথ খোঁজা হোক। চায় না সমস্যার সমাধান হোক। বিরোধী চক্রান্তকারীরা চায় না মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা সবার কাছে পৌঁছে যাক।” কুণাল আরও জানান, ‘‘একাধিক সূত্র মারফত আমাদের কাছে খবর এসেছে, নানা প্রলোভন দেখিয়ে, বিভ্রান্ত করে ওখানে কিছু কিছু লোক ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। গেটে গণ্ডগোল করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ছোট ছোট গ্রুপ করে লোক ঢোকানো হবে যাতে মুখ্যমন্ত্রী বার্তা কেউ শুনতে না পান।’’
পরিশেষে তাঁর অনুরোধ, “সিপিআইএম, বিজেপির পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। ওঁরা আপনাদের সমস্যার জট খুলতে আসবে না। আচমকাই ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। তার মোকাবিলা কীভাবে হবে, সেই আলোচনা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে আজ, ৭ তারিখ সমাবেশের আয়োজন করেছেন সদ্য চাকরিহারা ২৬ হাজার শিক্ষক।’’ সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়েও কর্মহীনদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে আগামী তিন মাসের মধ্যে নতুন করে নিয়োগ হবে। এই দুঃসময়ে যাতে কেউ ভেঙে না পড়েন, সেই মানবিক সমর্থন জানাতেই তাঁর ওই সমাবেশে যোগদান। মনে করা হচ্ছে, ওইদিন পরবর্তী আন্দোলনের রূপরেখাও ঠিক করবেন চাকরিহারারা। মুখ্যমন্ত্রী এই উদ্যোগকে ভেস্তে দিতেই বিরোধীরা অক্সফোর্ডের অনুষ্ঠানের মতোই এখানেও গণ্ডগোল করার চেষ্টা করতে পারে বলে মনে করছে তৃণমূল।
উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে ২৫ হাজার ৭৫২ জনের চাকরি গিয়েছে। রায়ে যেভাবে যোগ্যদের চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাতে পদ্ধতিগত দ্বিমত পোষণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ-ব্যাপারে তৃণমূলের স্পষ্ট দুটি অবস্থান ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল মুখপাত্র। প্রথমত, চাকরির দুর্নীতি নিয়ে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যারা অন্যায় করেছে, তাদের শাস্তি হোক। দল তাদের পাশে দাঁড়াবে না। একটি শব্দ উচ্চারণ করবে না। দ্বিতীয়ত, যোগ্যদেরও চাকরি খাওয়া হয়েছে। যোগ্য এবং অযোগ্যদের এক সঙ্গে মেলানো ঠিক হবে না। কোর্টের রায়ে স্পষ্ট করা হয়েছে কারা টাকা ফেরত দেবে আর কাদের টাকা ফেরত দিতে হবে না। এই কথাতেই পরিষ্কার হয় কারা যোগ্য আর কারা অযোগ্য।
ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে ১২১২ জন র্যাঙ্ক জাম্পিংয়ে অভিযুক্ত। ৪০৯১ জনের ওএমআর শিটে অসঙ্গতি রয়েছে। প্রশ্ন এখানেই। তাহলে বাকি ২০,৪৫০ জনের চাকরি খাওয়া হল কেন? শুধু এই অসঙ্গতি নয়, ওএমআর শিটের অনুসন্ধানে গাজিয়াবাদের পঙ্কজ বনশলের নাম এসেছে। তাঁর ছাদ থেকে নাকি ওএমআর শিট পাওয়া গিয়েছে। এই নিয়ে প্রচুর প্রশ্ন এবং ধন্দ তৈরি হয়েছে। এ-বিষয়টি তদন্তের আওতায় আনা উচিত। পঙ্কজকে গ্রেফতার করে জেরা করা উচিত। কুণালের অভিযোগ, বাংলাকে টার্গেট করে রাম-বাম রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধিতে নেমেছে।