কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির পক্ষ থেকে মুম্বইয়ের সংস্থাকে বরাত দেওয়া হয়েছিল চাকরি প্রার্থীদের ওএমআর শিট মূল্যায়নের জন্য, অর্থাৎ মুম্বইয়ের ওই সংস্থা ২০১৪ সালের প্রাথমিক চাকরি প্রার্থীদের পরীক্ষার উত্তরপত্র ওএমআর শিটের মূল্যায়ন করে। এরপর চাকরিপ্রার্থীরা কে কত নম্বর পেয়েছিলেন সেই তালিকা ও তার সপক্ষে ওএমআরের কপি তুলে দিয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন– ধর্মতলায় শাহী সমাবেশে থাকছে ‘ড্রপ বক্স’, বাম- ডান সবাইকে ‘আমন্ত্রণ’ বঙ্গ বিজেপির
মূল ওএমআর শিটের নম্বর ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদে জমা পড়া তালিকার মূল্যায়নে বিস্তর ফারাক পাওয়া গিয়েছে তদন্তে। এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির তরফে মূল্যায়ন নম্বর পর্ষদকে দেওয়া হয়। সিবিআই সূত্রে দাবি, এই হাত বদলেই নম্বর কারচুপি করা হয়েছে। কিন্তু কার নির্দেশে এই কারচুপি? খুঁজছে সিবিআই। মুম্বইয়ের ওই সংস্থার এক কর্তাকে এবার তলব করতে চলেছে সিবিআই। বেশ কিছু নথি চাওয়া হয়েছে প্রাথমিক পর্ষদ থেকেও।
পুজোর আগেই এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির দুই কর্তা কৌশিক মাজি ও পার্থ রায়কে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, ঠিক একইভাবে এসএসসির নম্বর কেলেঙ্কারিতেও দিল্লির একটি সংস্থার যোগ উঠে এসেছিল। নাইসার তরফে ওই সংস্থার কাছে ২০ লক্ষ চাকরি প্রার্থীর মূল্যায়ন করতে দেওয়া হয়েছিল। দিল্লিতে অভিযান চালিয়ে সমস্ত ডিজিটাল এভিডেন্স সংগ্রহ করেছিল সিবিআই। তাই সিবিআইয়ের দাবি শিক্ষাক্ষেত্রে নিয়োগে দফতরেরই কর্তাদের একাংশের নির্দেশে এই কারচুপি হয়েছে।